ওপেলিয়া কনি, কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ফিরোজ হ্যাচারির সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—নয়ন ইসলাম (২৫) ও রনি ইসলাম (২৬)। দুজনেই কুষ্টিয়ার কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত ছিলেন। সকালে তারা কুমারখালীর দুর্বাচারা এলাকা থেকে এক মোটরসাইকেলে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় মোটরসাইকেলটিতে তিনজন আরোহী ছিলেন, তবে আহত তৃতীয় ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় খুলনাগামী গড়াই পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে মোটরসাইকেলটিকে জিএসএম কারখানার সামনে চাপা দেয়। এরপর দ্রুতগতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বাসটি। ঘটনাস্থলেই নয়ন ও রনি প্রাণ হারান।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা অভিযোগ করেন, গড়াই পরিবহনের বাসগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনার কারণ হয়।
বিক্ষুব্ধ জনতা জানান, যতক্ষণ না গড়াই পরিবহনের বাস মালিক ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের পরিবারের দায়ভার নেবেন, ততক্ষণ তারা সড়ক ছাড়বেন না। এই দাবিতে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন, যার ফলে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে বটতৈল মোড়ের দুই পাশে অন্তত আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
চৌরহাস হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়দেব জানান, “এলাকাবাসী মরদেহ উদ্ধারেও বাধা দিচ্ছেন। তাদের দাবি, বাস মালিককে দ্রুত ঘটনাস্থলে আনতে হবে।”
এসময় অবরোধের কারণে অনান্য যানবাহনের বহু যাত্রী পড়েন চরম দুর্ভোগে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল গণমাধ্যমকে জানান, “ঘটনার খবর পেয়েছি, পরিস্থিতি শান্ত করতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে।”
স্থানীয়দের দাবি, সড়কে নিয়ম-শৃঙ্খলা ফেরাতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে—না হলে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।
ওপেলিয়া কনি //দৈনিক দেশতথ্য//১২ এপ্রিল ২০২৫