সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ১৫ই জানুয়ারী কুষ্টিয়ায় সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিএনপি। এরমধ্যে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সভা-সমাবেশ বন্ধসহ ১১দফা বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। যে কারণে সমাবেশের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করা হলেও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
গতকাল শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১১ দফা নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করে বদ্ধস্থানে তা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এই অযৌক্তিক সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্যই কোভিডের সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে নেয়া হয়নি। বিরোধী দল সমূহের চলমান প্রতিবাদ-প্রতিরোধে আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত ও দমন করার জন্য এসব পরিকল্পনা করছে সরকার। নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে।
হাট-বাজার, যানবাহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হচ্ছে। দোকান-পাট, শপিং মল খোলা রাখা হচ্ছে। সারাদেশে মেলার আয়োজন করা এবং মুজিব বর্ষ পালনের কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। অথচ উম্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। কাজেই এই নিষেধ্বাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অগণতান্ত্রিক এবং দমনমূলক বলেই আমরা মনে করি। ১৫ই জানুয়ারী ২০২২ইং কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির উদ্যেগে কেন্দ্রীয় ঘোষিত সমাবেশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থগিত করা হয়েছে। আন্দোলনের চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। পরবর্তিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সমাবেশের তারিখ জানানো হবে।