কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় বিরল প্রজাতির একটি লক্ষ্মী পেঁচা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরবর্তীতে আকাশে অবমুক্ত করেছে বিবিসিএফ কুষ্টিয়া টিম। জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার ইয়ামান মাউনের বাড়িতে পাখিটি আছড়ে পড়ে। ঠিকমতো উড়তে পারে না। এসময় তাকে ধরে কবুতরের খাঁচায় রাখা হয়। পরে ইয়ামান মাউন বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) কুষ্টিয়া টিমকে বিষয়টি জানালে শুক্রবার সকালের দিকে বিবিসিএফ কুষ্টিয়া টিম শহরের থানাপাড়া এলাকায় ইয়ামান মাউন এর কাছ থেকে পেঁচাটি গ্রহণ করেন।
এসময় পেঁচা টিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উড়তে পারায় শুক্রবার গভীর রাতে প্রকৃতির খোলা আকাশে অবমুক্ত করা হয় বিরল প্রজাতির লক্ষী প্যাঁচা টিকে। বিবিসিএফ কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি “দি ফক্স ম্যান” শাহাবউদ্দিন মিলন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিরল প্রজাতির লক্ষী পেঁচা ছোট ভাই ইয়ামান মাউনের বাড়ির আঙিনায় আছড়ে পড়ে। এরপর ঠিকমতো উড়তে পারে না। এসময় তাকে ধরে কবুতরের খাঁচায় রাখে। পরে সকালে আমাদের বিবিসিএফ কুষ্টিয়া টিমকে বিষয়টি জানায় ইয়ামান মাউন।তাত্ক্ষণিকভাবে আমরা লক্ষ্মী পেঁচাটিকে নিয়ে এসে খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা দেয়। পরে পেঁচাটি সুস্থ হয়ে উঠলে শুক্রবার গভীর রাতে খোলা আকাশে লক্ষ্মী পেঁচাটিকে অবমুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে বিবিসিএফ কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক “পাখি গবেষক ” এস আই সোহেল জানান, উদ্ধারকৃত পাখিটি আসলে ধুসর রংয়ের লক্ষ্মী পেঁচা। এ ছোট পেঁচার চোখের পুরো অংশটি সাদা। ধুসর রংয়ের মাঝে কালো স্পট রয়েছে। এই জাতীয় লক্ষ্মী পেঁচা বড় বড় গাছের কোটরে থাকে। এরা বাসা বানাতে পারে না। তাই এদের কাক, বিড়াল, বেজী প্রানীর দ্বারা আক্রমণের শিকার হতে হয়। বড় বড় গাছ যেহেতু এখন কমে গেছে তাই এই লক্ষ্মী পেঁচা দেখা যায় না। আস্তে আস্তে এরা হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে। অথচ আমাদের স্বার্থে এদের বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। এবিষয়ে বিবিসিএফ কুষ্টিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ জানান, শুক্রবার সকালে আমাদের টিম লিডার মিলন ভাইয়ের ফোনে খবর পাই গত রাতে একটি বিরল প্রজাতির লক্ষী পেঁচা আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post