আজ পহেলা ফাল্গুন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তাই শহর জুড়েই যেন উৎসবের ঘনঘটা। আর এই দুই উৎসবেরই কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ‘ফুল’। নানান রঙ, নাম ও সুগন্ধের ফুল। হাজার বছর ধরে ভালোবাসা আর পবিত্রতার প্রতীক হিসেবেই যার পরিচিতি। তাইতো বছরের আনন্দোৎসবগুলো সামনে রেখে প্রতীক্ষায় থাকেন ব্যবসায়ীরা।
ভালোবাসা দিবস ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে অনেক ফুল মজুদ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। ভালোবাসা দিবসে বেড়েছে কেনাবেচার ব্যস্ততা। বাকি পূর্ণতা আসবে একুশের প্রথম প্রহর থেকে প্রভাতফেরীর আনুষ্ঠানিকতায়। এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কুষ্টিয়ার থানামোড়ের দোকানগুলোতে এখন শোভা ছড়াচ্ছে আমদানি করা ফুল। এসব ফুল দিয়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের মালা গাঁথা, ফ্লাওয়ার রিং তৈরি ও কাগজ মোড়ানোর কাজ। গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দিন পাশাপাশি হওয়ায় কেনাবেচা জমেছে তাদের। তবে গত বছরের চেয়ে এবার ফুলের দাম বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। তাই বাড়তি দামে ব্যবসায়ীদের মুখে হাঁসি ফুটলেও বছরের বিশেষ এই দিনে কিছুটা নারাজ হচ্ছেন ক্রেতারা।
কুষ্টিয়ার প্রাণকেন্দ্র থানামোড়ে দেখা গেছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে স্থায়ী ফুল ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
প্রতিটি ফুল দোকানের সামনেই রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। স্কুল কলেজের তরুণ-তরুণীরা দরদাম করে নিজ নিজ পছন্দের ফুলটি বেছে নিতে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ কেউ নিজ মাথার মাপ মত বাহারি ফুল দিয়ে তৈরি করা ‘ফ্লাওয়ার রিং’ পরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের দিয়েই।
ফুল কিনতে আসা কয়েকজন এর সাথে কথ বললে তারা বলেন, ফুলের দাম চড়া। তাই ১০ টাকার একটি গোলাপ ৫০/৩০ টাকায় নিতে হচ্ছে। আর একটি সাধারণ ফ্লাওয়ার রিং ১৫০ টাকা এবং গোলাপ দেওয়া রিং ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উৎসবে দাম নিয়ে মাথা না ঘামালেও তা স্বাভাবিক থাকলে ক্রেতাদের মন আরও ভালো থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।