কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল ইসলাম মিরু (৫০) ও কলেজ শিক্ষক বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে একদল দুষ্কৃতিকারী।
এই মামলার রায় আজ রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে ঘোষনা করেছেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম। এই রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন এবং ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত হলেন- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে তারিক, মোশাররফ হোসেনের ছেলে কামাল রেজা নিপু, আব্দুর রশিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মাসুদ, নবীর আলীর ছেলে রায়হান আলী ও সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে সিদ্দিক ওরফে (বাংলা ভাই)।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, চাঁদা না দেওয়ায় ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ভেড়ামারা শহরের রেলবাজার এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও কলেজ শিক্ষক বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে আসামিরা।
এ ঘটনার তিনদিন পর ১৮ আগস্ট ভেড়ামারা থানার এসআই শেখ আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১১ সালের ২২ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন। আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ২৪,২০২২//