কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য আটক হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা মহাসড়কে ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো: খাইরুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে মাগুরা জেলার আজমপুর গ্রামের লোকমান মুন্সীর ছেলে মো: কাজল হোসেন (২৭), ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার ভর কামদিয়া গ্রামের মৃত সাদেক খানের তিন ছেলে মোঃ মাসুদ খান (৩৪), মোঃ মাসুম খান (৩২) ও মোঃ বাচ্চু খান (৩০)। ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ছাগলদিঘী গ্রামের মোঃ মজিবর রহমানের ছেলে মো: শাহিন শেখ ওরফে রাকিব (২৫) এবং ফরিদপুর জেলা বোয়ালমারী থানার হরিহরনগর গ্রামের মোঃ সিদ্দিক মোল্লার দুই ছেলে সবুজ মোল্লা (২৪) ও সিদ্দিক মোল্লা (৬৫)।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমানিক পৌনে একটার দিকে বগুড়া জেলার বুড়িগঞ্জ হাট থেকে বিভিন্ন রং ও আকৃতির সর্বমোট ৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মূল্য মানের ৮ টি গরু কিনে কয়েকজন বেপারী তাদের ভাড়াকৃত ট্রাক নং-ঝিনাইদহ ড-১১-০১০৪ যোগে নিজ বাড়ী চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
পথিমধ্যে রাত অনুমানিক পৌনে একটার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুর বালিয়াপাড়া ব্রীজ পার হয়ে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাত দল ২টি ট্রাকযোগে পিছন দিক থেকে এসে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে গরু বোঝাই ট্রাক থামিয়ে স্লাইরেঞ্চ ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে তাদের নিকট থেকে সর্বমোট ৭টি মোবাইল ফোন, নগদ ৭৯ হাজার টাকা, ১টি ট্রাক ও ৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ৮টি গরু ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
ডাকাতরা গরু নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপারীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে ডাকাতির বিষয়টি জানায়। এ সময় হাইওয়ে ও কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ সুপার জানান, তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষণে আসামীদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। মামলাটির প্রাথমিক তদন্তকালে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে প্রাথমিকভাবে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
জা// দেশতথ্য// ১৩ অক্টোবর ২০২২//

Discussion about this post