নিজস্ব প্রতিবেদক: সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। ৩ থেকে ৫ বছর আগে শেষ হয়েছে বিমার মেয়াদ। চুক্তি অনুযায়ী দেয়া হয়েছে চেক। তবে, ব্যাংকের সেই একাউন্টে নেই টাকা। এ অবস্থায় চেক নিয়ে ঘুরছেন গ্রাহকরা। এমন প্রতারণার অভিযোগ কুষ্টিয়ার সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে।আবার খুজেও পাওয়া যায় না কোন অফিস।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিষা কুন্ডু ইউনিয়নের ছাতার পাড়া গ্রামের আমেনা বেগম। শত অভাবেও একটু লাভের আশায় বীমা করেছিলেন সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে। দশ বছর ধরে প্রতিমাসে একশ টাকা করে জমিয়েছেন ১২ হাজার টাকা। মেয়াদ শেষে ফেরত দেয়ার কথা ছিল দ্বিগুণ। কিন্তু ২০১৮ সালে দেয়া হয় ১২ হাজার ১শ সাত টাকার চেক। অবশ্য, সেই একাউন্টে কোন টাকা না থাকায় তাও ফেরত পাননি।
আমেনা বেগমের মত গ্রামের শতশত নারী টাকা জমিয়েছেন সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সে। এখন কোম্পানিটির জেলা কার্যালয়ও খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কৌশলে কোম্পানিটি নিয়োগ দেয় ইমাম, মোয়াজ্জিন ও শিক্ষকদের। প্রতারণার ঘটনায় এখন তারাই পড়েছেন বিপদে। গ্রাহকরা এখন তাদেরকেই অপমানিত করছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টার্জিত জমানো টাকা ফেরত পেতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে প্রশাসন, এমনটাই প্রত্যাশা ভূক্তভোগীদের।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৩ জুলাই ২০২৪

Discussion about this post