Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 6:58 pm

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার মিরপুরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মী ডলি খাতুনকে হত্যার ঘটনায় স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা করাগারে পাঠানো হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ কোটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বাহারুল ইসলামের মেয়ে ডলি খাতুনের সাথে ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাব বিয়ে হয় একই উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজের।
বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডলির সাথে কামালের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর মধ্যেই ডলি মিরপুর থানার তালবাড়ীয়া পরিবার পরিকল্পনা অফিসে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি পান। চাকরি পাওয়ার পর থেকে ডলি খাতুনের উপর তার স্বামি কামাল নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে কামাল। এ ঘটনায় নিহত ডলির পিতা বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে একই দিনে মিরপুর থানায় ডলির স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ, তার পিতা সন্টু কবিরাজ এবং মাতা আমেনা খাতুনকে আসামী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারের পর স্ত্রী ডলিকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসাদুজ্জামান কামালকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালে ২৬ জুন মামলার চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু বক্কার ।
পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//