কুষ্টিয়া মডেল থানার গৃহকর্তা জালাল হত্যা মামলায় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া সাহাবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মারিয়া আহমেদ এর যাবজ্জীবন করাদন্ড সহ অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদ্বয়ের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন মিরপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত মুন্তাজ মন্ডলের ছেলে সাহাবুল ইসলাম (২৮) এবং সাহাবুলের স্ত্রী একই এলাকার মারুফ হোসেনের কন্যা মারিয়া আহমেদ (২২)। তবে কর্মসূত্রে সাহাবুল-মারিয়ার বর্তমান ঠিকানা- মাগুড়া জেলার নিজনান্দুলিয়া গ্রামে তাদের বসবাস।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারী দুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বারখাদা গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করাকালে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া সাহাবুল-মারিয়া নামের আসামীদ্বয় পরস্পর যোগসাজসে গৃহকর্তা জালালের ঘরে কাপড় চুরি করতে যায়। এসময় চুরি দেখে ফেলায় গৃহকর্তা জালাল উদ্দিনকে সাহাবুল ও মারিয়া প্রথমে শ^াসরোধ করে অচেতন করত: পরে বটি ও বেøড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে লেপমুড়িয়ে লাশ ফেলে রাখে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী রিনা খাতুন বাদি হয়ে ২৫ জানুয়ারী ঘটনার দিনেই কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আননুর জায়েদ মামলা টি মাত্র ৭দিনের মধ্যে তদন্ত শেষে ৩১জানুয়ারী ২০২০ শুক্রবার আদালতে চার্জ শীট দাখিল করেন।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌসুলি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান,‘সদর থানার গৃহকর্তা জালাল হত্যা মামলায় পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২০হাজার টাকা করে অর্থ দন্ডাদেশ অনাদায়ে আরও ১বছরের সাজা দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।’
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৪ জুন-২০২২//