নিজস্ব প্রতিবেদক: আর মাত্র ৪ দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মায়ের ভাষা বাংলার দাবিতে বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে। ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে কুষ্টিয়াসহ সারাদেশে প্রস্তুতি চলছে।গতকাল বিভিন্ন শহীদ মিনার ঘুরে দেখা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে । মূল বেদী থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে ধোয়া মোছার কাজ। ধোয়া মোছা শেষ হলে আল্পনার সাজে সাজবে শহীদ মিনার।
যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে লক্ষ্যে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ও হাই পাওয়ারের লাইট স্থাপনের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর অর্থাৎ ১২টা ১ মিনিটি থেকে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন থেকে শুরু করে আমজনতার ঢল নামে। শ্রদ্ধার অর্ঘ্যে ছেয়ে যায় শহীদ মিনার। তবে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতির কারণে গত বছর দুয়েক ধরে সীমিত পরিসরে ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে। একসঙ্গে বেশি মানুষকে শহীদ মিনারে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়ত হবে না।
উপরন্তু একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা সনদ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মুখে থাকতে হবে মাস্ক। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন বলে জানা গেছে ।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post