কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সামছুল আলম (৭০) নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের দড়ি বাটিকামারা গ্রামের দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমা খাতুন ওরফে নুপুরের (২৪) বাড়ি থেকে পুলিশ ওই মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে।
মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামত বাড়িয়া গ্রামের মৃত গোলাম সরোয়ারের ছেলে। মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মো. সারবিনা আলম ও অন্যান্য স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ‘ অর্থের লোভে মোটা অংকের কাবিনে ফাঁদে ফেলে সামছুল আলমকে জোর পূর্বক বিয়ে করেছিলেন রেশমা। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য নিয়মিত তাকে মারিপট করতেন রেশমা।
দাবি করেন শনিবার রাতে তাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। আমরা উপযুক্ত বিচার চাই।’
আর দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমা খাতুন বলেন, ‘ তিনি (স্বামী) প্যারালাইসিস রোগী ছিলেন। গত শনিবার রাত ৩ টার দিকে নিজ কক্ষে চেয়ার থেকে মেঝেতে পড়ে আহত হন। পরে রবিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমি তাঁকে মারিনি।’
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ‘ রেশমা খাতুন খারাপ প্রকৃতির ও লোভী মহিলা। রেশমা বিভিন্ন সময়ে যুবকদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। তাঁর স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়মিত মারপিট করতেন।
কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বিকেল ৫ টার দিকে খবর পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরের কয়েকটি স্থানে সন্দেহজনক ক্ষত রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
বা// দৈনিক দেশতথ্য// ২১নভেম্বর//