জাহিদ হাসান,ভেড়ামারা : দেশের বন্যা কবলিত অঞ্চল গুলোতে মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হলেও কষ্ট বেড়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পরানখালী গ্রামের সাবদুল ফকির ও আবু বক্করের পরিবারে।
এই বর্ষায় অতিবৃষ্টির ফলে পরানখালী বাজার সংলগ্ন মৃত রব্বানী ফকির ও মৃত বোরহান কারিগরের ছেলে যথাক্রমে সাবদুল ফকির ও আবু বক্করের পাশাপাশি বাড়ী। পেশায় দিনমজুর ও নরসুন্দর ( নাপিত)।
দুই বাড়ীর মাঝখানে নিচু এলাকা হওয়ায় পরানখালীতে অবস্থিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখ ভাগের বিরাট জায়গায় থেকে গড়িয়ে আসা পানি সহ চারিদিকের পানি জমে আছে বাড়ীর তিনপাশে। পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ছোট কালভার্ট থাকলেও সেটা যুক্তিসঙ্গত কারণেই বন্ধ করা হয়েছে।
সেটা পাকা ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছাড়া খোলা হলে কালভার্টের অপর মুখের সামনে থাকা বাড়িটিও ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়বে। উল্লেখ্য ঐ বাড়িওয়ালাও চায় একটা সুন্দর ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান হোক।
তিনমাস জলাবদ্ধতার কারণে বাড়ী সকল সদস্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারি বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহায়তা এখনও দিনমজুর সাবদুল ও আবু বক্করের পরিবার পায়নি।
পানিবন্দী সাবদুল ফকির জানান, বর্ষা কাল আসলে চারপাশের পানি এসে আমাদের আঙিনায় জমা হয়। পানিবন্দী থেকে আমাদের পরিবারের সদস্যদের শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নের মেম্বার, চেয়ারম্যান কে বিষয়টি জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই।
এলাকা বাসি তারিক ইসলাম জানান, সাবদুল ফকির ও আবু বক্করের পরিবার বিগত চার বছর যাবত বর্ষাকাল আসলেই পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পূর্বে সাবেক ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার থাকাকালীন সময় পরিবার দুটি পানিবন্দী হয়ে পড়লে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। আসলে এখানে সঠিক ডেন্স ব্যবস্থা থাকা দরকার।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বিষয়টি শুনে দ্রুত একটা স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।