নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের দলীয় প্রার্থী হতে বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএফইউজের সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুজ্জামান কিরন, রাশেদুজ্জামান মিল্টন, সঞ্জু আলম।
আফরোজা আক্তার ডিউ বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি, কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কুষ্টিয়া কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজে সহকারী প্রধান শিক্ষক। দৈনিক স্বাধীনতা প্রতিদিন ও ডেইলি নিউজ এভরিডে পত্রিকার সম্পাদক। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে ২০১৬ সালে জয়ীতা হন। তিনি কুষ্টিয়া জেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল ও সমন্বয় কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সচিব ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর সহ সভাপতি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিবর্তন এর কোষাধ্যক্ষ ও আলোর দিশা মহিলা সংস্থার সভাপতি, কুষ্টিয়া লেডিস ক্লাবের সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য। সরকারী শিশু সদন (বালিকা) বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং কুষ্টিয়া জেলা রেফারি আম্পায়ার সমিতির আজীবন সদস্য ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস) এর সহ-সভাপতি, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক। সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি ও দৈনিক দৈনিক আরশীনগর, দৈনিক পদ্মা গড়াই, ডেইলি অথেনটিক পত্রিকার সম্পাদক, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি)এর সভাপতি, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক।
আফরোজা আক্তার ডিউয়ের পিতা প্রয়াত সোহরাব আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । ১৯৯১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত (মৃত্যুকালীন পর্যন্ত) কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে পাকিস্তান সরকারের চাকরি ছেড়ে কলকাতা থিয়েটার রোডে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারে যোগদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মা শাহানারা বেগম মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য, বস্ত্র সরবরাহ ও অস্ত্র সংরক্ষণ করেছেন। তার চাচা প্রয়াত আবুল কাশেম পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
– এবি//দৈনিক দেশতথ্য//ফেব্রুয়ারী ০৮,২০২৪//

Discussion about this post