নিজস্ব প্রতিনিধি :পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠায় গত বছর ২৮ অক্টোবর দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বেশ কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ৩৭.০২.০০০০.০০০.১০৫.২৭.০০১৯.২৪.৮৩০ নম্বর স্মারকে মো. মাঈন উদ্দিন, সহকারী পরিচালক, মাউশি অধিদপ্তর কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্রে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত-পূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ নির্ধারিত ছকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক (কলেজ) ড. এস. এম সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিচালক (কলেজ) মো. ইমামুল ইসলাম এর সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ঠিকমতো পাঠদান না করে তাদের নিকট প্রাইভেট ও কোচিং করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট ও কোচিং এর চাপে দিন দিন স্কুল বিমুখী হয়ে পড়ছে এবং স্কুলে অনুপস্থিতির হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কিছু শিক্ষক নিজ বাড়িতে ও ভাড়া বাসাতে বাণিজ্যিকভাবে কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট ও কোচিং না করানোর ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা তা মানছে না। কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিনিধিকে জানান, স্কুলের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট ও কোচিং না করলে তাদের সন্তানদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয় এবং ওইসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করে যারা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে তাদেরকে বেশি নাম্বার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেও একই ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//