কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া পৌরসভার ফটকের সামনে ময়লা ফেলে কর্মবিরতি পালন করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডে ৪শত ৮০জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে কুষ্টিয়া পৌরসভার ফটকের সামনে ময়লা ফেলে কর্মবিরতি পালন করেছে।
আজ রোববার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এসময় দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা আন্দোলন বন্ধ করে চলে যান।
আন্দোলনকারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভায় প্রায় ৪৮০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেন। কর্মীরা ময়লা আবর্জনার কাজ করে হাজিরা পায় দিনে ২৭৫ টাকা। অথচ যেকোন দিনমজুরকে হাজিরা হিসেবে কমপক্ষে ৫’শ টাকা দিতে হয়।
পৌরসভার পরিছন্নতা কর্মী ঝন্টু মন্ডল বলেন, বাধ্য হয়েই চার দফা দাবি আদায়ে আজ পৌরসভা গেটে ময়লা ফেলে প্রতিবাদ ও কর্মবিরতি পালন করছি। এর আগে এসব দাবি বাস্তবায়নে পৌর কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। দাবি না নামা হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিষয় প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পৌরসভার সংরক্ষণ পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বলেন, পরিছন্নতা কর্মীর আমার দপ্তরের অধিনেই কাজ করে। আমি সকাল বেলা এসে দেখলাম বেতন ভাতার দাবিতে পরিছন্নতা কর্মীর আন্দোলন করছে। আমি এদেরকে বলেছি জুলাই মাস থেকে বৃদ্ধি বেতন কার্যকর হবে। আসলে পরিছন্নতা কর্মীরা যে বেতন পায় তাতে তাদের আসলে সংসার চলার কথা না।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে এক দিনের বেতন কাঁটাসহ উৎসব ভাতার নামে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা কেটে নেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এটা উৎসব ভাতা না এটা অগ্রিম বেতন হিসেবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দেয়া হয় যা তাদের বেতন থেকে প্রতি মাসে কেটে নেওয়া হয়। এবং প্রতি মাসে ৩১ দিন হিসাবে একদিনের ছুটি নির্ধারণ করে একদিনের ২৭৫ টাকা কাটা হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি আসলে ভুল বুঝাবুঝি থেকে হয়েছে। জুলাই মাস থেকে তাদের বেতন বাড়ানোর কথা ছিল। এই নিয়ে কাজ চলছে। তাদের সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত তাদের দাবি পূরণ করা হবে।