Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 4:56 am

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে রোগী ভর্তি শুরু

এসএম জামাল, কুষ্টিয়া অফিস : অনেক বাধা-বিপত্তি ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বল্প পরিসরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উল্লেখযোগ্য আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৯০টি শয্যায় আবাসিক এ রোগী ভর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে আংশিক উদ্বোধন করা হয়।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রিজওয়ানুর রহমান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে বেশ কিছু রোগী এনে রাখা হয় এই হাসপাতালে। এসব রোগীরা নতুন হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ওষুধ ও খাবার পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান।

রবিবার দুপুরে কুমারখালী উপজেলার বাখৈই গ্রামের বাসিন্দা রওশন আরা (৩৩) নামের নারীকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া শিশু ওয়ার্ডেও রোগী ভর্তি করা হয়। সব মিলিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ১৯ জন ও শিশু ওয়ার্ডে ২২ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত হাসপাতালে এ দুটি ওয়ার্ডেই রোগী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মেডিসিন বিভাগে সবোর্চ্চ ৪৫ জন ও শিশু বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৫ জন রোগী ভর্তি করা হবে।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, আপাতত হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু হচ্ছে না। রোগী ভর্তি হতে হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে রেফার্ড বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে জরুরিভাবে অনুমতি বা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের পরামর্শে আসা রোগীদের ভর্তি করানো হবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য অক্সিজেন সাপোর্ট, কিছু ওষুধ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ারুল কবীর বলেন, ‘স্বল্প পরিসরে মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৪৫টি করে মোট ৯০ শয্যায় আবাসিক কার্যক্রম শুরু হলো। আশা করছি, পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গরূপে হাসপাতালটি চালু করতে পারবো।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রিজওয়ানুর রহমান বলেন, ‘একটা বড় কাজ শুরু হলো। এখন থেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতালটি অন্তত শুরু হলো। এখন ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গরূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। রোগীদের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে।’

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, আপাতত হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু হচ্ছে না। রোগী ভর্তি হতে হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে রেফার্ড বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে জরুরিভাবে অনুমতি বা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের পরামর্শে আসা রোগীদের ভর্তি করানো হবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য অক্সিজেন সাপোর্ট, কিছু ওষুধ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।