Print Date & Time : 24 August 2025 Sunday 3:48 pm

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়ম ও দুর্নীতি

এনামুল হক, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের জলাশয় দখলের উদ্দেশ্যে যে বালি ফেলা হয়েছিলো, তা অবশেষে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জব্দ করে নিলাম করা হয়েছে।
সংবাদ ও ভিডিও প্রকাশের পর এমন উদ্যোগে সচেতন মহলের মাঝে প্রশ্ন রয়ে যায়, কর্তৃপক্ষ সংবাদ প্রকাশের অপেক্ষায় থাকলো কেন? তাহলে কি তারা বাধ্য হয়েই তাদের সামনে প্রকাশ্য করা  কুকর্ম বন্ধ করলো? এছাড়াও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, কুষ্টিয়ার হাউজিং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেডিকেল কলেজ এখনো পুরো ৮ একর জমি বুঝে পায়নি। সেই জমিতে অবৈধভাবে প্লট তৈরি করে যাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে এখনো মামলা চলমান বলে জানা গিয়েছে। এরপরও মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নীরবতা কেন?
২০২২ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে ২০২৫ সালের মে মাসে। অথচ এখনো নিয়োগ চুড়ান্ত হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার ‘কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ’ হাসপাতাল কর্তৃক ছিলো বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা। নিয়োগ পরীক্ষায়, কুষ্টিয়া জিলা স্কুল কেন্দ্রেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। এছাড়াও হাসপাতালের ডাক্তারদের রয়েছে নিজস্ব এসিস্ট্যান্ট প্রার্থী, আগে থেকেই হসপিটালে কাজ করা মানুষদের পার্মানেন্ট করতেই এই নিয়োগ সার্কুলার নাটক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
একজন চাকরি প্রত্যাশী পরীক্ষার্থী বলেন, শুধু শুধু আমাদের মতো গরিব ঘরের শত শত মানুষকে সার্কুলার দেখিয়ে আবেদন করিয়ে, আমাদের স্বপ্ন নিয়ে খেলা করলো মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।

এই দেশে এখন পর্যন্ত নূন্যতম কোন পরিবর্তন হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন একজন চাকরী প্রত্যাশী পরীক্ষার্থী।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না থাকাতেও বিভিন্ন ডাক্তারের এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা মানুষদের স্থায়ী নিয়োগ দিতেই এই সার্কুলার দেওয়ার মাধ্যমে পরীক্ষার আয়োজন। এছাড়াও পরীক্ষায় ছিলো একেকজন ডাক্তারের সুপারিশক্রমে একেকজন চাকুরী প্রার্থী। এদিকে বিশ্বের সর্বাধুনিক মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনার বরাদ্দ তুলে দিয়ে নিম্নমানের ইনস্ট্রুমেন্ট কেনো কেনা হলো, এমন অভিযোগও বিদ্যমান রয়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। নিম্নমানের যেগুলো কেনা হয়েছিলো,সেই ইনস্ট্রুমেন্ট ঠিকভাবে কাজ করে না।
এর দ্বারা এমন ঘটনাও অহরহ ঘটেছে যে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসায় অপারগ হয়ে সদর হাসপাতালে রুগিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ২০১৬ সাল থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা থাকলেও আজও কেন এই মেডিকেল কলেজ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি,এমন প্রশ্নও রয়ে যায় কুষ্টিয়ার নাগরিকদের কাছে। এমনিভাবে লাগামহীন দুর্নীতির আঁকড়ায় পরিণত হয়েছে, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।

এল//দৈনিক দেশতথ্য //