নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাচনের ট্রেনে উঠেছে বাংলাদেশ, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথমার্ধে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন। এদিকে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কর্তৃক কুষ্টিয়া সদর-৩ আসন থেকে মনোনীত এমপি প্রার্থী শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল লতিফ খান।
তিনি বলেন দেশপ্রেমিক ইসলামিক, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করে একটি বৃহত্তর ঐক্যে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ। সাংবাদিক এক প্রশ্নের উত্তরে মাওলানা আব্দুল লতিফ বলেন, শুধু সময়সূচি নির্ধারণ যথেষ্ট নয়। একটি কার্যকর, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে এখনই প্রয়োজন সর্বাত্মক প্রস্তুতি, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও ন্যায্য পরিবেশের বাস্তব নিশ্চয়তা। গতকাল শুক্রবার লন্ডনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডক্টর ইউনুস এর সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। এদিকে দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজ দলীয় এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে শুরু করেন বিভিন্ন আসনে।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদের খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের নেতৃত্বে একশ’টি মটর সাইকেল শোডাউনের এক বিশাল র ্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শোডাউন টি কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের আইলচারা বড় মাদ্রাসা থেকে শুরু করে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন, মনোহরদিয়া ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করে সদর আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নের জনসাধারণদের উদ্দেশ্য করে স্বাগত জানান।
শোডাউন/গণসংযোগে ব্যাপক সারা পাচ্ছেন বলে দাবি করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আব্দুল লতিফ খান।এসময় নির্বাচনী নির্ধারিত সময় ঘোষণা হওয়ায় এর প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যাশিত বার্তা উপস্থাপন করেছেন। আমাদের মতেও, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলে ভালো হয়। আমরা এমন সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। তবে শুধু তারিখ ঘোষণা করলেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত হয় না। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নির্বাচনী পরিবেশকে পেশিশক্তিমুক্ত, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং সবার জন্য সমান সুযোগসম্পন্ন করে তোলা।
মাওলানা আব্দুল লতিফ খান আরও বলেন ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের যে অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উচ্চারিত হয়েছে, তা বাস্তবায়নের একমাত্র পথ হলো জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা বজায় রাখা; নির্বাচন কমিশনের সাহসী ও স্বাধীন ভূমিকা এবং গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের অবাধ পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা।এতে বলা হয়, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে তিনটি মৌলিক শর্ত পূরণ অপরিহার্য। সেগুলো হলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো, ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরাপদ ও সহনীয় পরিবেশ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচনই পারে দেশে গণতান্ত্রিক ধারার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে এই বাইক শোডাউন ও নির্বাচনী গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এবং জেলা সভাপতি ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আব্দুল লতিফ খান, কুষ্টিয়া জেলা সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান, সহ-সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা আব্দুল মতিন সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ। এদিকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সদিচ্ছাকে বাস্তব রূপ দিতে হলে ফ্যাসিবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রমে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ের অগ্রগতি দরকার। এ ছাড়া চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়াকে বেগবান ও কার্যকর করা এবং ‘জুলাই সনদ’ যথাসময়ে প্রকাশ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে নিয়মিত ও অর্থবহ সংলাপের ধারা চালু রাখতে হবে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে।