দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার লক্ষে্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলেছেন মো. আতাহার আলী। তিনি গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এসময় তার সাথে দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। আতাহার আলী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আতহার আলী ১৯৮০ পরবর্তী সময়ে মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে মিরপুর মাহামুদা চৌধূরী কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন। ১৯৮৬ সালে মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী, ১৯৮৮ সালে সভাপতি, ১৯৯৩ সালে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ সালে দুেই টার্ম সভাপতি ছিলেন।
২০০৪ ২০০৮ সালে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ এবং ২০১২ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৩ সালে বিএনপির শাসনামলে বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে পুরষ্কার লাভ করেন। কুষ্টিয়া জেলার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে তিন টার্ম দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি। কুষ্টিয়ার লালন একাডেমী শিল্পকলা একাডেমী ও রাইফেল ক্লাবের আজীবন সদস্য।
১৯৭৫ পরবর্তী সময়ের ভূমিকার অংশ হিসেবে ১৯৮৮ সালে বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল হুদাকে মিরপুরে জনসভা করতে দেননি। ওয়ান ইলেভেনের পর এলাকায় আওয়ামী লীগের সংগঠন বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিডিআর বিদ্রোহের সাক্ষী ছিলেন। তার দেওয়া সাক্ষ্যে ৪৫ জন অপরাধীর শাস্তি হয়েছিল।
আতাহার আলী বলেন আমি রাজনৈতিক জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে রাজনীতি করে আসছি। কোন লোভ লালসা আমাকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমি বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে থাকবো বদ্ধপরিকর
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//নভেম্বর ২০,২০২৩//