বিজয়ের পঞ্চাশে নতুন আশ্বাসে, স্লোগান নিয়ে ‘কুষ্টিয়ার কন্ঠ’ সংগীত প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচিত হন মোল্লা আশিকুর রহমান রিয়াল, রানার আপ হিসেবে নির্বাচিত হন সানজিদা আরবী আলফি এবং দ্বিতীয় রানারর্স আপ হিসেবে নির্বাচিত হন সাদিয়া ইকবাল অরণ্য।
পরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীর মাঝে পুরষ্কার ও চেক তুলে দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ মাহমুদ এমপি।
এসময় তিনি বলেন, শিল্পের শহর কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পকলা একাডেমি কুষ্টিয়াতে অবস্থিত। শিল্প প্রতিষ্ঠানের দিক দিয়ে এ-জেলা দেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, গগন হরকরা, কাঙাল হরিনাথের জন্ম এই কুষ্টিয়ায়। এছাড়া বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কুষ্টিয়াকে ধন্য করেছেন।
শিল্প এবং শিল্পচর্চাকে এগিয়ে নিতে বিআরবি কেবলস এই অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমিও বিআরবির ফ্যান ব্যবহার করি। বিআরবির পণ্য গুণে মাণে অনণ্য।
কুষ্টিয়ারন উন্নয়নের রুপকার মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপির কারণে এতো সুন্দর এই শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ করা হয়েছে। এখান থেকে আরও ভালো ভালো শিল্পী তৈরী হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
দশজন শিল্পী কে নিয়ে ঢাকায় কুষ্টিয়া নাইট নামের একটি অনুষ্ঠান করতে চাই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে এতো মানুষ দেখে আমি আপ্লুত। আপনাদের সবাইকে দাওয়াত করছি। ঢাকায় কুষ্টিয়া নাইট নামের একটি অনুষ্ঠানে আপনারা কুষ্টিয়ার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। সেখানে কুষ্টিয়ার গুনী শিল্পীসহ খুরশীদ আলম ও চন্দনা মজুমদার গান গাইবেন। সব ব্যবস্থা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় করবে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের এমপি এ্যাড. আকাম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালি) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম, কালচারাল অফিসার সুজন রহমান প্রমুখ।
বিচারক হিসেবে ছিলেন, কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, চন্দনা মজুমদার ও দেশখ্যাত সংগীত পরিচালক মিল্টন খোন্দকার ও আশরাফুন্নাহার দীনু।
প্রতিযোগিতায় এক হাজার জন শিল্পীর মধ্যে বাছাই করে ৫ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। তারা হলেন, মোল্লা আশিকুর রহমান রিয়াল, সানজিদা আরবী আলফি, হোসাইন মোহাম্মদ সালেহ সীমান্ত, সাব্বির কোরাইশি, সাদিয়া ইকবাল অরণ্য।
চ্যাম্পিয়ন মোল্লা আশিকুর রহমান রিয়াল কে ৫০ হাজার চেক, স্বর্ণ পদক ও ক্রেস্ট, রানার আপ সানজিদা আরবী আলফিকে ২৫ হাজার টাকার চেক, রৌপ্য পদক এবং ক্রেস্ট, এবং দ্বিতীয় রানার আপ সাদিয়া ইকবাল অরণ্যকে ১৫ হাজার টাকার চেক, ব্রোঞ্জ পদক ও ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ ।এছাড়াও যন্ত্রশিল্পীদের জন্য এক লাখ টাকা, বিজয়ীদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রোকসানা পারভীন। অনুষ্ঠানে ছয়শতাধিক আমন্ত্রিতরা উপস্থিত ছিলেন।
//জা// দৈনিক দেশতথ্য// ০৫, নভেম্বর ২০২২//