কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় একটি নিষ্ফলা অভিযান চালিয়েছে সদর উপজেলা প্রশাসন। বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন স্পটে এই অভিযান পরিচালিত হয়। তবে একই সময়ে কুষ্টিয়া সদর ছাড়াও ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমান অভিযান সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর ১১টি স্পট থেকে প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারের শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই বালুখোর প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার সকাল থেকেই এই অভিযান শুরু করে প্রশাসন। তবে অভিযানের কথা আগে থেকেই বালুখোর মহল জেনে যাওয়ায় নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায় সে কারণে কার্যত: অভিযানটি নিষ্ফলা অভিযানে রূপ লাভ করে। উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও অভিযানে যৌথভাবে নেতৃত্ব দেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা। অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ।
এবিষয়ে নৌ-পুলিশের উপপুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যৌথ অভিযান চলাকালে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের নদীতে পাওয়া যায়নি। যে কোন ভাবে হয়ত অভিযানের কথা জানতে পেলে তারা পালিয়েছে, তবে চলমান এই অভিযানে স্পটে বালু উত্তোলনরত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
অভিযান শেষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। সেজন্যই মূলত আজকের এই অভিযান। এলক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে যৌথ ভাবে গঠিত মনিটরিং টিম এই অভিযান পরিচালনা করছেন। চলমান এই অভিযান নিয়মিত চলতে থাকবে’।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৫ জুলাই ২০২৩

Discussion about this post