কুষ্টিয়া জেলার সাংবাদিকতার অগ্রপথিক আবদুর রশীদ চৌধুরী’র শুভ জন্মদিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার। প্রবীণ এই সাংবাদিক ১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর তৎকালীন নদীয়া তথা কু্ষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন কবি, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সমাজ সেবক হিসেবেও পরিচিত । তিনি বৃহত্তর কুষ্টিয়া থেকে প্রথম প্রকাশিত দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা, সাপ্তাহিক জাগরনী ও দি বাংলাদেশ রিভিউ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়াও প্রায় ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘দৈনিক সংবাদ’- এ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়া তথা তিন দশকের বেশী সময় যাবত বাংলাদেশ টেলিভিশনে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া দীর্ঘকাল ধরে কবিতা রচনা করে আসছেন। তাঁর কাব্য গ্রন্থঃ নির্জনে আমি একা; প্রেক্ষিতে মুখর নদী, আয়নায় নিসর্গ রমণ (সম্পাদিত) ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তোমার মনকে ছোঁব একদিন’।
তিনি বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের নির্বাহী সদস্য। এ অঞ্চলে সাংবাদিকতা ও সমাজসেবার ক্ষেত্রে আবদুর রশীদ চৌধুরী দীর্ঘ চার দশক ধরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তার সম্পাদিত ‘দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা’ এই অঞ্চলের সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি সহ সকল ক্ষেত্রের অন্যতম প্রধান মুখপত্র হিসেবে দীর্ঘ কাল ধরে এলাকার সাথে কাজ করে চলেছে।
তিনি কুষ্টিয়া লায়ন্স ক্লাবের জেলা সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া রাইফেল ক্লাবের সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ঐতিহ্য পরিষদ কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক, জাগরনী প্রকাশনির স্বত্ত্বাধিকারী ও জাগরনী সাহিত্য সংসদের সভাপতি।
তিনি সাংবাদিকতায় কবি জসিম উদ্দিন পদক সহ ৩০টি পদক ছাড়াও ভারত থেকে পঁচিশটি পদক পান। স্থানীয়ভাবে ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া জেলা সমিতি, কুষ্টিয়া জেসিস ক্লাব, হাজি মোকাদ্দেস ফাউন্ডেশন মেধা, ড. আলাউদ্দিন আহম্মেদ ফাউন্ডেশন পদক, উত্তরবঙ্গ সাংস্কৃতিক সংঘ পদক ছাড়াও ৩০ট পদক পেয়েছেন। সাংবাদিকতা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে তাঁকে অন্ততঃ ২০টি সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। পিআইবি প্রকাশিত সাংবাদিক অভিধানে কুষ্টিয়া জেলার একমাত্র জীবিত সাংবাদিক হিসেবে তাঁর নাম অন্তভূক্ত রয়েছে।
শিক্ষাজীবনঃ
তিনি একজন চিত্রশিল্পী ও এক্ষেত্রে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা আর্ট কলেজ থেকে বিএফ এ ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ভারত থেকে ডিপ্লোমা ইনজার্নালিজম লাভ করেন।
পরিবারিক জীবনঃ
তাঁর স্ত্রী তসলিমা চৌধুরী বুলবুল কবি, সাংবাদিক ও কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘অভিষেক’ এর সম্পাদক। বড় মেয়ে শাহরীন তামান্নু চৌধুরী রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক, ছোট মেয়ে নওরোজ তামান্নু চৌধুরী অষ্ট্রেলিয়ায় স্বামীসহ পড়াশুনা করছেন। একমাত্র পুত্র প্রকৌশলী তাসলিমুর রশীদ চৌধুরী হলিউডে সস্ত্রীক কর্মরত।