Print Date & Time : 22 August 2025 Friday 9:52 am

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ইউপি নির্বাচনে জয়পরাজয়ের ব্যবধান

সারা দেশের মধ্যে এবারে মিরপুরের ইউপি নির্বাচন ছিল ব্যাতক্রমী। এখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতার শরীক দল জাসদের মধ্যে ভোট হয়েছে।

কারণ এখানকার এমপি জাসদের প্রধান হাসানুল হক ইনু। সেই কারণে এখানে রিগিং বাদেই ভোটারের ভোট নিয়ে জিততে হয়েছে। সেই হিসেবে প্রাপ্ত ভোট প্রমাণ করেছে জয়পরাজয়ের সূচক।

সেই সূচকে কে কতটা ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে তার উপর গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকার এই প্রতিবেদন।

গতকাল ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে মিরপুর উপজেলার ১১ টি ইউপির নির্বাচন।

এই নির্বাচনে ১১টি ইউপির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রাপ্ত ভোট ও ভোটের ব্যবধান তুলে ধরা হলো।

বহলবাড়ীয়াঃ এই ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (নৌকা) প্রাপ্ত ভোট ৮০৬৭।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের সাইদুর রহমান মন্টু (মশাল) পেয়েছেন ৬৪৯০ ভোট।

জয়পরাজয়ের ব্যবধান ১৫৭৭ ভোট।

তালবাড়িয়াঃ এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হান্নান মন্ডল (আনারস) ৬৫৬৫ ভোট পেয়ে জিতেছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের তৌসিক আহম্মেদ সোহান (নৌকা) পেয়েছে ৬৫৩৯ ভোট।

জয়পরাজয়ের ব্যবধান ২৬ ভোট।

বারুইপাড়াঃ এই ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম মন্টু (নৌকা) প্রাপ্ত ভোট ১১৫৯৬।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের সাইদুর রহমান (মশাল) পেয়েছেন ৬৫৩৯ ভোট।

ভোটের ব্যবধান ৫০৫৭ ভোট।

ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নঃ এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল ইসলাম (আনারস) ৪২০০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আতাহার আলী। নৌকা প্রতিকে তিনি পেয়েছেন ৪১৯৫ ভোট।

মাত্র ০৫ ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছেন।

আমলাঃ এই ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের একলিমুর রেজা সাবান (নৌকা) ১০৮০২ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মিরপুর উপজেলা জাসদের সেক্রেটারি আহাম্মদ আলী স্ত্রী রাজিয়া পারভীন। মশাল মার্কায় তিনি পেয়েছেন ৪২৯৭ ভোট।

ভোটের ব্যবধান ৬৫০৫ ভোট।

সদরপুর ইউনিয়নঃ এখানে আওয়ামী লীগ নয় তবে ওই ঘরানার প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম (আনারস) ১১০২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের রবিউল হক রবি। নৌকা প্রতিকে তিনি পেয়েছেন ৪৪৭১ ভোট।

৬৫৪৯ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

ছাতিয়ানঃ এই ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কবির হোসেন বিশ্বাস আনারস প্রতিক নিয়ে ৮৯৫২ ভোট পেয়ে জিতেছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের তাছের আলী (নৌকা) পেয়েছেন ৪২৩২ ভোট।

৪৭২০ ভোটের ব্যবধানে জয়পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে।

পোড়াদহঃ এই ইউনিয়ন পরিষদে সাবেক জাসদ নেতা ফারুকুজ্জামান জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতিক নিয়ে ১২৫৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনজির আহমেদ। মোটরসাইকেল প্রতিকে তিনি পেয়েছেন ৯৮১০ ভোট।

২৭২৪ ভোটের ব্যবধানে জয়পরাজয় নিশ্চিত হয়েছে।

উল্লেখ্য দালালী আইনে সাজা খাঁটা৷ এক স্বাধীনতা বিরোধীর মেয়েকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করায় এই পদটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৪২৭ ভোট।

কুর্শা ইউনিয়নঃ এখানে আওয়ামী লীগের আব্দুল হান্নান (নৌকা) ৫১৯১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহন আলী। আনারস প্রতিক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫১৭৮ ভোট।

মাত্র ১৩ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহন পরাজিত হয়েছেন।

মালিহাদঃ এখানে আওয়ামী লীগের আকরাম হোসেন (নৌকা) ৫৯৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদের আব্দুল হামিদ। তিনি মশাল প্রতিকে পেয়েছেন ৫৪০৫ ভোট।

ব্যাবধান ৫৯৪ ভোট।

আমবাড়ীয়াঃ এখানে আওয়ামী লীগের সাইফুদ্দিন মুকুল (নৌকা) ৪০৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদের মশিউর রহমান মিলন। মশাল মার্কায় তিনি পেয়েছেন ৩৪৪৫ ভোট।

৬৩৫ ভোটের ব্যবধানে জাসদের মশিউর রহমান মিলন পরাজিত হয়েছেন।