কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পূর্ব শত্রæতার জেরে আব্দুল্লাহ আল মঞ্জু (১৭)কে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য, দুই সহোদরসহ ৭জনের যাবজ্জীন কারাদন্ডসহ অর্থ দন্ডে দন্ডিত করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১র বিচারক মো. তাজুল ইসলাম সাজাপ্রাপ্তদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার পান্টিগ্রামের আব্দুল মতলেব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ(২৪), বাদশা আলীর ছেলে রুবেল(৩৫)(পলাতক) ও ফারুক(৪২), মৃত মকছেদ আলীর ছেলে কাশেম(৫৪), মৃত ফকির চাঁদের ছেলে রুহুল আমিন(৫২), আফসার আলীর ছেলে নজরুল(৪৫) ও ফরিদ(৪৭)। রুহুল আমিন পান্টি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য। এ মামলার নামীয় আরও ২৯ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল সকালে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে পূর্ব হতে বিবদমান শত্রæতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোক কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাকের ছেলে স্কুল ছাত্র আব্দুলাহ আল মঞ্জু(১৭)ও উপর হামলা চালিয়ে ফালা দিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহত মঞ্জুর বাবা বাদী হয়ে ৩৭জনের নামোল্লেখসহ কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে কুমারখালী থানর উপ পুলিশ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন ৩৬জনের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল চার্যশীট দেয় আদালতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা করে হত্যার দায়ে আনীত অভিযোগের স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের ২০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের সাজা ভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একজন পলাতক রয়েছে। এ মামলার ২৯ জন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,১৯ জানুয়ারি ২০২৩

Discussion about this post