Print Date & Time : 30 July 2025 Wednesday 10:17 pm

কুষ্টিয়ায় একটু বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় সড়ক, দূর্ভোগ চরমে

সামান্য বৃষ্টিতেই কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকার সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। বৃষ্টি হলেই সড়ক গুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ।

এ চিত্র শহরের কলেজ মোড়, র‍্যাব গলির অর্জুন দাস আগরওয়ালা সড়ক, কাটাইখানা মোড়, কোর্টপাড়া, সদর হাসপাতালের সামনের সড়ক, জামতলা মোড়সহ পৌরসভার আওতাধীন বেশ কয়েকটি এলাকার। বৃষ্টিপাত হলেই সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

পৌর বাসিন্দারা বলছেন, সামান্য বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক পরিণত হচ্ছে সমুদ্রে। পৌর কর্তৃপক্ষ নালা নির্মাণ করলেও তাদের ভুল পরিকল্পনায় তা কোনো কাজে আসছে না। জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি আমরা। কিছু কিছু জায়গায় নালাগুলোতে পলিমাটি পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। নালার ময়লা-আবর্জনা বৃষ্টির পানির সাথে সড়কে উঠে আসছে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টি হলে নালার নোংরা পানি সড়কের পাশের বাড়িতেও ঢুকে পড়ছে। সঠিক পরিকল্পনা করে নালা গুলো পূর্ণনির্মাণ করে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতেও দাবি জানান তারা।

শহরের বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মেহেদী মাসুদ বলেন, একটু বৃষ্টির হলেই শহরের ছোট বড় হাট-বাজার গুলোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়ছে পানি। ফলে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাসা বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ছে। শুধু মাত্র পৌর কতৃপক্ষের উদাসীনতা ও ভুল পরিকল্পনায় তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে।

কোর্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা মিরাজ হোসেন বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ নালা সংস্কারের কাজ করেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তবুও সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যাচ্ছে সড়কে। আর এতেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এমন ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।

পথচারী নাজমুল ইসলাম বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলোতে পানি জমে যায়। হেঁটে চলাচল করা যায় না। এছাড়াও বৃষ্টি হলেই রিকশা ও অটোরিকশার চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। ২০ টাকার ভাড়া ৫০ থেকে ৭০ টাকা হয়ে যায়। শুধু মাত্র সড়কে বৃষ্টির পানি জমাট বাঁধার কারণেই।

কুষ্টিয়ার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নয়ন আহমেদ বলেন, বাসা থেকে বের হয়েই রাস্তায় পানি থাকায় জুতো হাতে নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হচ্ছে। নালাগুলো যদি পরিষ্কার থাকত, তাহলে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতো। এতে খুব সহজেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারতাম। দ্রুত এই নালাগুলো পরিষ্কার করে পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থা করতেও দাবী জানান তিনি।

কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, এমন জলাবদ্ধতা শহরজুড়েই দেখা যাচ্ছে। দ্রুতই পৌর কর্তিপক্ষের নিকট কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এই জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, নালা গুলো বহু আগের পরিকল্পনায় করা। এই সময়ে এসে তা কাজে আসছে না। অন্যদিকে অবৈধ দখলদারদের জন্য নালার মুখ কিছু কিছু জায়গায় বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে পানি যেতে পারছে না। দ্রুতই সঠিক পরিকল্পনা করে কাজগুলো করা হবে। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই এই জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে শহরবাসী।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/