দু’চোখ যেদিকে যায় চোখে পড়ে সরিষা ফুলের মনজুড়ানো দৃশ্য। কাঁচা হলুদের সেই ছন্দে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। মাঠজুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে দোল খাচ্ছে কুষ্টিয়ার খোকসার কৃষকের স্বপ্ন কৃষকরা বলছেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়ায় সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন তারা। উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি জমিতে সরিষা উৎপাদন হয়েছে এই উপজেলায়।
করোনার ভয়াবহতা, বিশ্ব অস্থিরতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় দেশের সার্বিক উন্নয়নে কৃষির উন্নতির কোনো বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরসদয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের এক ইঞ্চি কৃষিজমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে কৃষি বিভাগ। খোকসাতে কৃষিতে সাফল্য এসেছে। রেকর্ড হয়েছে অল্প জমিতে বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের। এই উৎপাদন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে খোকসার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা ।
স্বল্প সময়ে চাষ সম্ভব বলে চাষিরা সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সরিষা চাষে সার বা সেচও লাগে না খুব একটা, তাই স্বল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে চাষ।বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশি) বারি-১৪, বারি-৯, সরিষা-১৫, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-৪ ও স্থানীয় টরি-৭ চাষ করছেন। আগামী বছর সরিষা চাষ আরও বাড়বে বলেও জানান তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বলেন,শুধু সরিষা আবাদ নয় অন্যান্য ফসল ও ফলাদি উৎকৃষ্টভাবেবৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

Discussion about this post