কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কুশলীবাসা বাজারের নিচে ও সদর উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া অবস্থিত কালী নদীতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বিষ দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লীজকৃত নদীর ইজারাদার কুশলীবাসা গ্রামের শাহীন অভিযোগ করেন, এই এলাকার ত্রাস শমশের আলী বিশ্বাস ও তার লোকজন বিষ দিয়ে এই মাছ নিধন করেছে। শমশের আলী বিশ্বাস দীর্ঘদিন এই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছে। তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী থাকায় তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়না। কেউ কথা বলতে গেলে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। অসহায় শাহীন বিচারের আশায় দারে দারে ঘুরছে।
ভুক্তভোগী শাহীন জানায়, ৩ বছরের চুক্তিতে হরিনারায়ণপুর ব্রীজ থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত কালী নদী লিজ নেই চাপড়া মৎসজীবী সমবায় সমিতির নামে। ৪ মাস আগে এই নদীতে রুই, কাতল, সিলভার কার্প, গ্লাস কার্প সহ বিভিন্ন প্রজাতীর প্রায় আড়াইশ মণ মাছ এই নদীতে ছাড়ি। বর্তমানে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। গত ২ সপ্তাহ আগে বুধবার আমি কুশলীবাসা ব্রীজের নিচে মাছ দেখতে আসি। এসময় শমশের আলী বিশ্বাস ও তার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে মারার উদ্দেশ্যে তারা করলে জীবন বাচিয়ে পালিয়ে আসি।
দীর্ঘদিন এই শমশের বিশ্বাস গং এই নদীর মাছ মারার জন্য পায়তারা করে আসছিল। শমশের আলী বিশ্বাসের সাথে আমার দীর্ঘদিনের পূর্বশত্রুতার জের ধরে সে ও তার লোকজন নদীতে বিষ দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করেছে। কালী নদীর ইজারাকৃত ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেলে নদীতে শত শত রুই, কাতল, গ্লাস কার্প, সিলভার কার্প মাছ সহ নানা প্রজাতীর আনুমানিক ১-৩ কেজি ওজনের মাছ মরে ভেসে থাকতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শমশের আলী বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এসব ঘটনার সাথে আমরা কেউই জড়িত না।
এই ব্যাপারে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, উক্ত ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন এই শমশের আলী বিশ্বাস গংদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেড়িয়ে আসতে পারে এই মাছ নিধনের রহস্য। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৬ এপ্রিল ২০২৩