বকুল চৌধুরীঃ কুষ্টিয়া জেলায় কুমারখালী উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে একযুগ পরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্রই শুরু হয়েছিল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলীয় পাঁচ ইউনিয়ন বাসীর গুরুত্বপূর্ণ সান্দিয়ারা – লাহিনী পাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কটির কাজ।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ নং সি ডাব্লিউ বি.আর.সি আইপি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা ধীন কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আর এইচডি লাহিনী-কাতলাগাড়ি জিসিভায় যদুবয়রা-সান্দয়ারা বাজার সড়ক চেঃ০০ – ১৫৬০০ মিটার কাজের জন্য চুক্তি হয় ১৫ কোটি ৪৭লাখ ১শত ৬টাকায় টাকায় উক্ত কাজটি পায়। জে,ভি ফরিদপুর সড়ক উপজেলা ফরিদপুর কার্যদেশ প্রদান ২৪/১২/১৯ কার্যদেশ অনুযায়ি কাজ শেষ ৩১/৫/২১ দেখা যায়, প্রতি কদমে কদমে গর্ত, কোথাও কোথাও আবার ছোট খাটো পুকুর, একটু বৃষ্টিতেই জমে পানি, শুকানো মৌসুমে প্রচুর ধূলা। মাঝে মাঝে সড়কের দুপাশ ভাঙা। গাড়িতে উঠলেই ঝাঁকুনি আর ঝাঁকুনি।
প্রতিদিইন উল্টে যায়, ভেঙে যায় মাল ও যাত্রীববাহী গাড়ী, বিকল হয়ে পরে থাকে যানবহন। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সুস্থ মানুষ গুলোও অসুস্থ যায়, আর অসুস্থ মানুষের কথাতো বলাই বাহল্য। সব মিলে চরম ভোগান্তি আর বেহাল দশা এবং মৃত্যুর ফাঁদে পরিনিত হয়ে আছে রাস্তাটি।
উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলীয় যদুবয়রা, চাপড়া, বাগুলাট,চাদপুর ও পান্টি ইউনিয়ন বাসীর রাজধানী ও জেলা শহরে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়াও জেলার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নবাসী ও পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা বাসীও তাদের নিত্য প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করে এই রাস্তাটি। এ অঞ্চলের মানুষ এই রাস্তা দিয়েই পার্শ্ববর্তী আরো একটি জেলা মাগুড়াতে যাওয়া আসা করে। ফলে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবহন ও মানুষের চলাচল।
রাস্তাটি নির্মানের একযুগ পরেও আর কোনোদিন সংস্কারের মুখ দেখিনি। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক খানাখন্দ, রাস্তার দুপার ভেঙে চলে গেছে। সবমিলে বর্তমানে রাস্তাটি এখন চলার সম্পূর্ণ অনুপযোগী। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে চলাচল করছে মানুষ। এতে প্রতিদিনই প্রায় সংঘটিত হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
রাস্তার পিচ ঢালায় অনেক আগেই উঠে গেছে, ২০ মিনিটের পথ যেতে ৫০ থেকে ৭০ মিনিট সময় লাগে, প্রতিদিনই প্রায় অটো সহ অন্যান্য গাড়ী উল্টে যায়, যাত্রী আহত হয়, মানুষ ভয়তে কোনো গাড়িতেই উঠতে চাইনা।
আরেক গাড়ী চালক আনিসুর রহমান বলেন, এই রাস্তা দিয়ে একজন সুস্থ মানুষ কুষ্টিয়া পর্যন্ত যাওয়া আসা করলে অসুস্থ হয়ে যায়, আর কোনো অসুস্থ মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যেতেই চাইনা। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তাটি।
সকড়ের কুলঘেষে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বর। জরাজীর্ণ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন শতশত মানুষ আসে সেবা পেতে। এবিষয়ে পরিষদের চেয়ারমান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাক মনির হাসান রিন্টু বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি ভগ্নোদশায় পরিনিত হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মন্ডল বলেন, জিকে ক্যানালসংলগ্ন রাস্তাটি ০০ কিঃমিঃ থেকে ১৫ কিঃমিঃ (সান্দিয়ারা টু লাহিনী কুমারখালীর অংশ) পর্যন্ত ৫. ৫ কার্পেটিং এবং সোল্ডার সহ মোট ৭ দশমিক ৩২ মিটার চওড়া করার জন্য ১৫ কোটি ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৫৩ টাকা বরাদ্ধ করা হবে ।
তিনি আরো বলেন, মাঝে মাঝে রাবিশ দিয়ে গর্ত ভরাট করা হয়েছে এবং বর্তমান ঠিকাদারকে বাতিল করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঠিকাদার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করা হবে।

Discussion about this post