Print Date & Time : 23 April 2025 Wednesday 3:58 pm

গড়াই নদীর চর প্লট আকারে বিক্রি করছে একটি চক্র

ভূমিদস্যুদ্বয়কে আইনের আওতায় না আনলে চরের সব খাস জমি বেদখল হয়ে যাবে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের ভূমিদস্যুরা গড়াই নদীর চরের জমি প্লট আকারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই খাস জমি বিক্রি করে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে একদিকে সরকারি সম্পত্তি বেহাত হচ্ছে অপরদিকে সহজ সরল ক্রেতারা না বুঝে ওই জমি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।

কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের ইকোপার্ক ও নতুন আবাসনের মাঝামাঝি স্থানে গড়াই নদী খননের বালু ফেলে উঁচু করা হয়।

ঐ জমির উপর নজর পড়ে কয়া পশ্চিম পাড়ার রাজা মালিথা ও নাঈমের। তারা দু’জন কয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলীর ঘনিষ্ঠ। যার কারণে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

স্বল্পমূল্যের এই জমি ক্রেতারা ১০/২০ হাজার টাকা করে দিয়েছে রাজা মালিথা ও নাঈমের হাতে। অবশ্য সরাসরি টাকার ব্যাপারে মুখ খুলছেননা ভূক্তভোগী জমি ক্রেতা মামুন, আব্বাস মন্ডলসহ অন্যান্য ক্রেতারা। শুধু বলছে আমরা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঘর নির্মান করেছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি জানান, রাজা মালিথা ও নাঈম ১০/২০ হাজার টাকা নিয়ে ঘর নির্মাণ করতে দিয়েছে।

এ বিষয়ে রাজা মালিথা সামনে আসতে রাজি না হলেও মোবাইল ফোনে জানান আমি চেয়ারম্যান সাহেবের কাছের লোক। আগামীকাল পরিষদে আসেন চেয়ারম্যানও থাকবে কথা বলবো। চরে ঘর নির্মাণ ছাড়াও বাঁশের বেড়া দিয়ে প্লট করে ঘিরে রেখেছে।

এ ব্যাপারে কয়া ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন নি। কয়ার বাসিন্দারা বলছেন, এই দুই ভূমিদস্যুকে আইনের আওতায় আনা না হলে নদী চরের সব খাস জমি বেদখল হয়ে যাবে। এব্যাপারে তারা কুমারখালী উপজেলা সহকারী কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২১ আগস্ট ২০২৩