কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (১২) শ্লীলতাহানীর অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের নাম মো. আব্দুল হালিম। তিনি উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া ইউনিয়নের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালত জামিন না মঞ্জুর করায় ২০ সেপ্টেম্বর হতে তিনি জেলে আছেন। বিভাগীয় উপ পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা কাশিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হালিমকে ২০ সেপ্টেম্বর হতে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
যতদিন মামলা চলমান থাকবে, ততদিন ওই শিক্ষক বরখাস্ত থাকবেন। বরখাস্তের কালীন সময়ে তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসে হাজিরা দিবেন।
পুলিশ ও মামলার বাদী সূত্রে জানা গেছে, ‘ টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লম্পট প্রধান শিক্ষক একাধিকবার মেয়েকে যৌনপীড়ন করেছেন। সর্বশেষ গত ২৩ আগষ্ট দুপুরে বিদ্যালয়ের স্টোর কক্ষে নিয়ে মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। ওইদিন বাড়িতে এসে মেয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং কাঁন্নাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে পরিবারের কাছে মেয়ে শিক্ষকের কুকর্মের কথা জানায়। পরে গত ২ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা। মামলা নম্বর ৪। এ বিষয়ে মামলার বাদী ও শিক্ষার্থীর মা বলেন, লম্পট শিক্ষার্থী মেয়ের সাথে একাধিকবার অনৈতিক কাজ করেছে। থানায় মামলা করেছি। মামলা চলমান। এমন প্রধান শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই আমি। ঘটনার পর থেকে মেয়ে ভয়ে আর স্কুলে যায়না।’ জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ ঘটনা জানাজানির পর গত ২৯ আগষ্ট থেকে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন না।ওই ছাত্রীও আসেনা।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিমের মোবাইলে কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী ও উত্তর মীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক বিলকিস খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কল ধরেননি। কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লিটন দাস বলেন, শিক্ষার্থী ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তে জবানবন্দির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আগামী ১৫ অক্টোরব তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
জা// দেশতথ্য// ১১ অক্টোবর ২০২২//