নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শামিম উল হাসান অপুর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, আব্দালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মহসিন আলী, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম আন্টু সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, আধিপত্য বাদী শক্তির বিরুদ্ধে এদেশের বীর সিপাহী ও জনতা ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব সংঘটিত করেন। এর মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেন। তিনি পরবর্তী সময় এদেশের সব থেকে জনপ্রিয় দল বিএনপি গঠন করেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং আধিপত্য বাদী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ফলে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। আজ দেশে গনতন্ত্র নির্বাসিত। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচারের কারে বাংদেশের অর্থনীতি আজ সয্যাশায়ী। দেশের প্রতিটা জিনিসের উপর অতিরিক্ত কর ধার্য করেছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম ডিজেল ও কেরোসিনের উপর লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে এই সরকার। যার ফলে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। জাতীর এই ক্লান্তি লগ্নে সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান তিনি। অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি বীর উত্তম জিয়াউর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতি নির্মূল করার সড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশবাসী আরো ঐক্যবদ্ধ করেন পাশাপাশি জনাব তারেক রহমান সারাদেশে তৃণমূল সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে জাতীয়তাবাদী দর্শনে উদ্বুদ্ধ করেন। তাই সড়যন্ত্রকারিরা নতুন পরিকল্পনা করা তথাকথিত ওয়ান ইলেভেন তৈরি করে বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে বাদ দিয়ে অর্থাৎ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে, অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারা মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। সেই সড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা কেস দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে এই সরকার। জনাব তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করে। পরবর্তীতে বিএনপি ও জনগণের আন্দোলনের চাপে লন্ডনে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয় এই সরকার। জাতি এই ভোটারবিহীন সরকারের নির্যাতনের ফলে সমাজ জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।

Discussion about this post