নিজস্ব প্রতিবেদক॥ কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার পৌরসভাসহ ১৪টি ইউনিয়নে পাট চাষীদের চলছে পাট জাগ দেওয়া ও ধোয়ার কাজ, বর্তমান বাজারে পাটের মূল্য ভাল বলেও জানিয়েছেন চাষীবৃন্দ। এই সোনালী আঁশ চাষীদের অনেকেই দুঃখ করে বলেন পাট জাগ দেওয়ার জায়গার অভাবে অনেক পাট নষ্ট হয়ে যাওয়ার অতিক্রম হতে চলেছে, ঐ চারীরা
যেখানেই একটু পানি/জলযুক্ত খাল বা ডুবা পাচ্ছে- সেখানেই কোন রকম মাটি চাপা নিয়েই পাট জাগ দিচ্ছে যা অনেক জাগ পুরা পানি পাচ্ছেনা। ফলন ও তেমন পাচ্ছে না-পাটের কালার ও হচ্ছে না। এই সোনালী আঁশ আবাদ ও জাগ দেওয়ার বিষয় মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষীবিদ) রমেচ চন্দ্র ঘোষ চাষীদের প্রশিক্ষণের সময় বলেছেন আপনারা শুধু মাটি চাপা দিয়ে পাট জাগ না দিয়ে- বরং পানির মধ্যে আগে ভাল করে জায়গা তৈরী করবেন এর পরে-পাটের আটি (বোঝা) গোছালো করে তাঁর উপর পলিথিন দ্বারা ঢেকে দিবেন এবং পলিথিনের উপর মাটি দিয়ে পানি/ জলের মধ্যে পাট জাগ দিবেন। দেখবেন পচন শেষে পাটের আঁশ ছাড়াবেন- দেখবেন কালার খুব ভাল হয়েছে এবং উচ্চ ফলন এবং চড়াও মূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন। চাষীরা বলেন বর্তমানের ১ বিঘা (২০ শতক) জামিতে পাট চাষ করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৮০০০/= হাজার টাকা, এক বিঘা জামিতে উৎপাদন প্রায় ৮ থেকে ৯ মন। বর্তমান বাজারে মূল্য পাচ্ছে (১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা) আগারো থেকে বিষ হাজার টাকায়। তবে পাটের মূল্য যদি সরকার বাড়াতেন চাষীরা অনেক উপকৃত হতো।

Discussion about this post