Print Date & Time : 3 July 2025 Thursday 11:01 pm

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার মামলায় চার আসামির আমৃত্যু কারাদন্ড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৪ আসামির আমৃত্যু কারাদন্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন ও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। মামলায় দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। মামলার পলাতক ৫ আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। মামলায় আমৃত্যু সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের মৃত নুরু বিশ্বাসের ছেলে হোসেন রানা, একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে পলাতক ওয়াসিম রেজা ও ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাটদাহ গ্রামের আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে পলাতক মানিক জোয়ার্দ্দার। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলী (পিপি) এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্তরা হলেন মিরপুর উপজেলার বালিদাপাড়া মশান গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে পলাতক ইদ্রিস ওরফে মোটা জসিম, খন্দকার রবিউল ইসলামের ছেলে পলাতক খন্দকার তৈমুল ইসলাম বিপুল, নুর বিশ্বাসের ছেলে ফারুক, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মতিমিয়া রেলগেট চৌড়হাস এলাকার খন্দকার মোছাদ্দেক হোসেন মন্টুর ছেলে উল্লাস খন্দকার, উদিবাড়ী এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে পলাতক মনির, পূর্ব মজমপুরের মৃত আব্দুল খালেক চৌধুরীর ছেলে বিপুল চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলার পচা ভিটা গ্রামের মৃত মোজাহার মোল্লার ছেলে আঃ মান্নান মোল্লা। এদেরকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও হত্যাকান্ডে জড়িত প্রমাণ হওয়ায় আরও ৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলার শার্শা থানা এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে মোবাইলে এক নারীর সম্পর্ক গড়ে ওঠার জের ধরে ২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর ও তার ভাইসহ মোট চারজনকে ডেকে এনে অপহরণ করে দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামে আটকে রাখা হয়। পরে সবার বাড়িতে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরের ভাই অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে অপহরণের প্রমাণ লোপাট করতে ২৫ নভেম্বর রাতে আসামিরা জাহাঙ্গীর হোসন মুকুলসহ তিন অপহৃতকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখে।
এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানায় জাহাঙ্গীরের বড় ভাই ইলিয়াছ কবির বকুল বাদী হয়ে ১৬জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩১ মার্চে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় প্রদান করেন। প্রসঙ্গত আসামিদের বিরুদ্ধে অপর দুটি হত্যা মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//