সেলিম আহামেদ তাক্কু ৷৷ কুষ্টিয়া পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত নায়েক ও কনস্টেবলদের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স-৪র্থ ব্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স, সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বমোট ১০৫টি ভেন্যুতে সকল পদমর্যাদার সদস্যদের নিয়ে অদ্য ৪ ডিসেম্বর ৪র্থ ব্যাচের ০৬ দিন ব্যাপি পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কর্মসূচির অংশ হিসাবে কুষ্টিয়া জেলায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রতিদিনের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের অংশ হিসাবে সকাল ৬ টার দিকে পিটির (শক্তি বর্ধক ব্যায়াম) মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম বলেন, ‘জীবনের প্রয়োজনে প্রতিটি মানুষের পেশাগত কাজের উন্নয়েনের জন্য একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজন হয়’। প্রশিক্ষন মানুষকে যোগ্য করে তোলে। প্রশিক্ষণ হচ্ছে এমন একটি পরিকল্পিত কার্যক্রম যেখানে একদল মানুষকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যক্তির কাজের উপর জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন ঘটে। প্রশিক্ষণ গ্রহনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট কাজের উপর যোগ্যতা অর্জন ও দক্ষ হওয়া যায়। পরে ধারাবাহিকভাবে পিটি, প্যারেড, ল-ক্লাস, নাইট ক্লাস এবং রাত্রি কালীন রোল কলের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কমান্ড্যান্ট, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, মোঃ রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), মোঃ হাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, মোঃ শহীদুজ্জামান (আরওআই), রির্জাভ অফিস, আরআই, পুলিশ লাইন্স, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার প্রশিক্ষকবৃন্দ এবং নায়েক ও কনস্টেবল পদমর্যাদার প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ।

Discussion about this post