কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের স্ত্রী শিক্ষক মোছা: কামরুন্নাহার (৮৫) কে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় মোছা: কামরুন্নাহার আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে সোমবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো: আশরাফুল ইসলাম এই জামিনাবেদন শুনানি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গেলো বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সমন্বিত জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বাদি হয়ে দেয়া এজাহারের অভিযোগ, ১৯৯৪ সালের ০১অক্টোবর হতে ২০১৯ সালের ২ডিসেম্বর সময়কালে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও স্ত্রী কামরুন্নাহার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৫২লক্ষ ১৬হাজার ৫শ ৭৩টাকার সম্পদ অর্জন করেন। সেই সাথে অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ বিভিন্ন জনের কাছে হস্তান্তর ও রূপান্তরসহ স্থানান্তর করে ২০০৪ সালের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২র ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ সংগঠনসহ দ:বি: ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিবাদী পক্ষের কৌশুলী এ্যাড. শেখ মো: আবু সায়িদ বলেন, এই মামলায় বিবাদী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন; আদালতের আদেশ অনুযায়ী আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনাবেদন করার কথা ছিল। বিজ্ঞ আদালত জামিনাবেদন শুনানী শেষে বিবাদী মোছা: কামরুন্নাহার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে এবং ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে উচ্চ আদালতে যাবো।
উল্লেখ্য এর আগে এই মামলার অপর বিবাদী কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে প্রাপ্ত অন্তবর্তী জামিন শেষে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে প্রেরন করেছিলেন। পরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হন। একই ভাবে প্রকৌশলী পত্মী কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজের শিক্ষক মোছা: কামরুন্নাহারও জামিনে ছিলেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//