Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 12:07 am

কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঠিকাদারকে হাতুড়িপেটা, আটক তিন

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঠিকাদারকে হাতুড়ি পেটার ঘটনার সাথে জড়িত তিন জনকে র‌্যাব আটক করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার হাতিয়া গ্রামের হানিফ মন্ডলের ছেলে মো. মোকাদ্দেস হোসেন (৪১), শহরের চৌড়হাসের মৃত রওশন আলী শি^াসের ছেলে আমিরুল ইসলাম বিল্টু (৪৫) এবং শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকার সকাল-সন্ধ্যা গলির শওকত ইসলামের ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম (২৮)। র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়ার্ডন লিডার মো. ইলিয়াস খান তিনজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরা ঠিকাদার শাহিদুর রহমান মিন্টুকে হামলার কথা স্বীকার করেছে। একই সাথে হামলার পরিকল্পনাকারী এবং হুকুমদাতা হিসেবে স্থানীয় দু’জন রাজনৈতিক নেতসহ আরো কয়েকজনের নাম বলেছে। এ বিষয়ে মামলা হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। র‌্যাব জানায়, ভয়ে নির্যাতনের শিকার ঠিকাদার শাহিদুর রহমান মিন্টু প্রথমে মামলা করতে রাজি না হলেও পরে অভয় দেয়ায় তিনি এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে রাজি হয়েছেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, ঠিকাদারকে নির্যাতনের ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলার বাদি হচ্ছেন নির্যাতনের শিকার ঠিকাদার শাহিদুর রহমান মিন্টু।
প্রসঙ্গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া এলজিইডি অফিসের সামনেই প্রকাশ্য দিবালোকে ঠিকাদার শাহিদুর রহমান মিন্টুকে (৪৮) একদল সন্ত্রাসী হাতুড়ি পেটা করে। ঠিকাদারকে হাতুড়ি পেটার এই দৃশ্য সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। নির্যাতনের শিকার ওই ঠিকাদার শাহিদুর রহমান মিন্টু (৪৮) কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শানপুকুড়িয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরের পুলিশ লাইন্সর সামনে বাসা ভাড়া থাকেন। ঠিকাদার শাহিদুর রহমান মিন্টু জানান, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঠিকাদারি কাজ করে আসছেন। এলজিইডি,সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসিসহ প্রায় সব দফতরেরই তাঁর নিজ নামে লাইসেন্স রয়েছে। হামলার কারণ হিসেবে তিনি জানান, কুষ্টিয়া এলজিইডি’র অধীনে প্রায় ৭ কোটি টাকার মিরপুর সড়কের ঘোড়ামারা আরএসডি হতে পোড়াদহ জিসি ভায়া মসেন রোডের দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল চলতি বছরের ৩ মার্চ। কাজটি তিনি না পেলেও দরপত্র দাখিল করার পর থেকেই কুষ্টিয়ার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা একজন ঠিকাদার তাঁকে মুঠোফোনে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। হুমকির কারণে তিনি গত তিন মাস ধরে মিরপুর উপজেলার কুর্শা মসজিদ হতে সুতাইল জোড়া ব্রীজ রোড পর্যন্ত এলজিইডি’র প্রায় এক কোটি টাকার রাস্তার কাজ শুরু করতে পারছেন না বলেও জানান।