কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনে বেদিতে আগে ফুল দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান এমপি সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোলের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার জন্য আগত কুষ্টিয়া-১ আসনের (দৌলতপুর) সংসদ সদস্য দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ ও সহসভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই হামলা পাল্টা হামলা, ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। এসময় দুই গ্রæপের প্রধানই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিতে জানতে চাইলে দুই পক্ষের প্রধানই সদুত্তোর দেননি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, দৌলতপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিটে) সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এ সময় বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশাহকে আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য ম থেকে নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর নাম ঘোষণা না করায় তার লোকজন চড়াও হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হট্টগোল, বাক বিতন্ডা, ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বর্তমান ও সাবেক এমপি উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সদস্যের কর্মী-সমর্থকরা উভয়ই চড়াও হয়। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এ সময় থানা পুলিশ ও ইউএনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে সাবেক সংসদ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘তেমন কোনো হট্টগোল হয়নি। জুনিয়রদের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্তি হয়েছিলো’। পরে সেগুলি ঠিক হয়ে গেছে’।
সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শহীদ মিনারে যাই। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। দীর্ঘ সময় পার হয়ে যায়, ফুল দেওয়ার জন্য মাইকে অনেকের নাম ধরে ডাকা হয়। কিন্তু আমার নাম ঘোষণা করা হচ্ছিল না। একজন সাবেক সংসদ সদস্য হলেও তারা আমাকে পরোয়া করেনি, সম্মান করেনি। এটা আসলে দুঃখজনক। এসময় কর্মীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমার নাম ঘোষণা করা হয়। আমি ফুল দিয়ে চলে আসি, পরে কি হয়েছে আমি জানিনা’।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, বেদিতে আগে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হালকা হট্টগোলের ঘটনা হয়েছিল। বড় ধরনের কিছু না’। পরে সব ঠিক হয়ে গেছে’।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল জব্বার জানান, ‘অনেক মানুষের ভীড়ে এধরণের ছোট খাটো ধাক্কা ধাক্কির ঘটতে পারে, এখানে বড় ধরনের তেমন কিছু ঘটেনি’।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Discussion about this post