বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ মোতাহার হোসেন খান বলেছেন, ভূমি প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং ভূমি সেবা আরও বেশি গণমুখী করার জন্য ভূমি সেবা সম্পর্কিত প্রযোজ্য সরকারি তথ্য উন্মুক্ত করারও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের দিশা টার্ক মিলনায়তনে বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কুষ্টিয়া জেলার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের ভূমি কর্মকর্তাবৃন্দ নিরলসভাবে নাগরিকদের ভূমি সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি রাজস্ব সংগ্রহ করে সরকারী কোষাগারে জমা করছেন। এই রাজস্ব ব্যবহার করে চলছে সরকারের তথা দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড।
কুষ্টিয়া জেলা একটি প্রসিদ্ধ জেলা হিসেবে নাম যশ খ্যাতি রয়েছে। এ জেলার কমিটির অগ্রগতি ও সফলতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, ভূমি একটি প্রাচীন শক্তিশালী মাধ্যম। ভূমি ব্যাবস্থা দীর্ঘদিন ধরে ছিলো, আছে এবং থাকবে। এই কুষ্টিয়ায় জেলা ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে হলে টেকসই ও মজবুত করে সংগঠন পরিচালন করতে হবে। স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে এই সংগঠন পরিচালনার আহবান জানান বক্তারা।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ডিজিটাল ভূমি সেবাকে স্মার্ট ভূমিসেবায় রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ আমরা ডিজিটাল ব্যবস্থার অংশ হয়েছি।
বক্তারা আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল ভূমি (উন্নয়ন) কর ব্যবস্থা আইসিটি খাতে বিশ্বে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত উইসিস পুরস্কার লাভ করেছে। একসময় বাংলাদেশের পুরো ভূমি সেবা ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছিল। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ আমরা ডিজিটাল ব্যবস্থার অংশ হয়েছি।
পরে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের বরণ করে নেয়া হয়।
সবশেষে অতিথিদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
এ সময় কমিটির সাধারণ সদস্য ও নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য ,১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

Discussion about this post