কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় বন্ধুকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে (২৯) নামে এক যুবককে কোমল পানি খাইয়ে অচেতন করে তার ‘গোপনাঙ্গ’ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ট্রাকচালক হাসান আলী জোয়াদ্দারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বড়আইলচারা ইউনিয়নের হাজী মোড় এলাকায়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই থানায় বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বর্তমানে ভুক্তভোগী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশরাফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী ওই যুবকের বাড়ি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বড়আইলচারা ইউনিয়নের হাজী মোড় এলাকায়। সে ২০১০ সালে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে চুয়াডাঙ্গা ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি থেকে এ বছর বিএসসি শেষ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানায় যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে অভিযুক্ত প্রতিবেশী ট্রাকচালক হাসান আলী জোয়াদ্দার তার কর্মস্থল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে তার প্রতিবেশী বন্ধু ওই যুবককে নিয়ে গিয়ে কোমল পানি খাইয়ে অচেতন করে তার ‘গোপনাঙ্গ’ কেটে দেয়। একই সঙ্গে বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয় হাসান।
ওই যুবক লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের না জানালেও অসুস্থ হওয়ার পরই বিষয়টি সামনে আসে। এ ঘটনায় ২১/০৫/২০২২ তারিখে ভুক্তভোগী নিজেই কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে অভিযুক্ত হাসান আলী জোয়ার্দ্দার ও তার ভাই হাফিজ জোয়ার্দার, তাদের পিতা শুকুর আলী জোয়ার্দার এবং শুকুর আলী জোয়ার্দারের স্ত্রী হাজেরা খাতুনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলতে চাইলে তাঁরা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এলাকাবাসী বলছে,একজন যুবকের পিতৃত্বের ক্ষমতা আজীবনের মত হারিয়ে ফেলছে। গোপনাঙ্গ কর্তন করে তার জীবন ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এমন নৃশংস কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তদন্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশরাফুল ইসলাম বলেন,দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে এমন অসুস্থতা নিয়ে এক যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আমরা সার্বক্ষনিক তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Discussion about this post