দুই সন্তানকেই ঠিক মতো খেতে দিতে পারেনা। এর উপর সতিন ঘরে আনায় প্রতিবাদী হয়েছিল রত্না। সেই অপরাধে স্বামীর হাতে খুন হয়েছে রত্না
কুষ্টিয়া শহরে রত্না খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটানোর পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী রনি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম জানান, বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে খুন হয়েছেন রত্না খাতুন। তার বাবার বাড়ি মিরপুর উপজেলার চারমাইল বিভাগ তাঁতিবন্দ গ্রামে। ১৮বছর পূর্বে রনির সাথে পারিবারিক ভাবে রনির সাথে রত্নার বিয়ে হয়েছিল। রত্নার বাবা আজিম মৃধা বাদি হয়ে রত্নার স্বামী রনি ও শাশুড়ি লিলি খাতুনের নামে মামলা করেছেন। এই অভিযোগে রত্নার স্বামী রনি হোসেন (৪২) ও শ্বাশুড়ি লিলি খাতুন (৬০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত রত্নার বড় বোন স্বপ্না খাতুন বলেছেন, রনি বেশকিছুদিন আগে এলাকার একজন স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে বিয়ে করে গোপন রেখেছিল। বিষয়টি গত ৭/৮দিন আগে রত্না জানতে পারে। এনিয়ে রনির সাথে ঝগড়া চলছিলো। দুই দিন আগে রনি তার ২য় স্ত্রীকে বাড়িতে তুলতে চায়। এতে রত্না আপত্তি করে। সে বলে দুই কন্যাসহ ৪সদস্যের এই সংসারে অভাব লেগেই আছে। এর মধ্যে আরও একজনকে নিয়ে আসতে দেব না। এতে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে রত্নাকে মারধরও করেছে।
এরপর রনি বিষয়টি মিমাংশার কথা বলে বুধবার সন্ধ্যার দিকে রত্নাকে শহরে নিয়ে যায়। কোর্টপাড়ার যে বড়িতে রনির মা গৃহকর্মীর কাজ করে রত্নাকে সেখানে উঠায়। ওখানেই রনির মা লিলি খাতুনের সামনে রত্নাকে হাতুর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং গলাটিপে খুন করে।
রত্না ১৮ বছর রনির সাথে খেয়ে না খেয়ে সংসার করে আসছিল। তাদের ঘরে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া সিনথিয়া (১৪) এবং সাজিয়া (১১) নামের দুই কন্যা রয়েছে। এখন কন্যা দুটি মা হারা হয়ে গেল।
আটক রনি হোসেন (৪২) পেশায় একজন অটো চালক। সে সদর উপজেলার বটতৈল গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের পুত্র। তার মা লিলি খাতুন কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় রাজু আহমেদ সড়কের হোল্ডিং ২০ ও বাসা নং ৪ এর ৩য় তলায় জনৈক রওশন আলীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ১৫,২০২২//