নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ তিনি কুষ্টিয়া গণপূর্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিভাগের একজন জিপ ক্লিনার। জিপ ক্লিনার সদর উদ্দিন গত ১লা জানুয়ারি ২০২২ শনিবার সকাল আনুমানিক ৭.১৫ সময় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরীর অফিশিয়াল কুষ্টিয়া ঘ: ০২- ০০০২ নম্বরের জিপ গাড়ি নিয়ে তার পরিবার পরিজনসহ ইংরেজি নববর্ষ পালনের উদ্দেশ্যে মেহেরপুরে প্রমোদ ভ্রমণ করে ঐদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুষ্টিয়া অফিসে ফিরে আসেন। যার অফিশিয়াল সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। সদর উদ্দিন ইতিপূর্বেও একাধিকবার উক্ত গাড়ি নিয়ে পরিবার পরিজন সহ তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া-আসা করেছেন বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে। যেখানে সরকারি নীতিমালায় বলা আছে, যে কর্মকর্তার নামে গাড়ি বরাদ্দ আছে উক্ত কর্মকর্তাও তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। অথচ একজন জিপ ক্লিনার কিভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের গাড়ি নিয়ে পরিবারসহ নববর্ষ পালন উপলক্ষে প্রমোদ ভ্রমণ করে বেড়ালেন। শুধু এটাই নয়, একজন জিপ ক্লিনারের কাজ গাড়ি পরিষ্কার করা, ড্রাইভারি করা নয়। তার কোন ড্রাইভারি লাইসেন্স নাই। কিভাবে তিনি গাড়ি ড্রাইভ করে তার নিজের ব্যক্তিগত কাজে প্রমোদ ভ্রমণ করলেন। সেই সাথে মোঃ সদর উদ্দিন বিনা লাইসেন্সে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরীকে নিয়ে অফিশিয়াল কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ড্রাইভ করে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়টি জানার জন্য গণপূর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলামকে ফোন করে উপরোক্ত বিষয়টির সার্বিক তথ্য জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে প্রতিবেদককে প্রথমে জানান। পরবর্তীতে সবকিছু খুলে বলা হলে, তিনি বিষয়টি দুঃখজনক এবং অপরাধমূলক কাজ বলে উল্লেখ করেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করব এবং তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে আমরা জিপ ক্লিনার সদর উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিব। তিনি এটাও বলেন, গণপূর্ত অফিসের ড্রাইভার স্বল্পতার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন। ড্রাইভার না থাকার কারণে জিপ ক্লিনারই ড্রাইভারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ড্রাইভার স্বল্পতার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছেন এবং বিষয়টি অতি দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করেন।

Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 10:38 am