কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক সার্জেন সুব্রত কুমার গাইনের বিরুদ্ধে যানবাহন আটক স্লিপ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সড়কে নিরাপদে, আইন মেনে মটরসাইকেল, প্রাইভেট, বাস, ট্রাক চলাচল করতে বাংলাদেশ পুলিশ আইনের অধিনে ট্রাফিক আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। সেই আইন যে কোন যানবাহান ভঙ্গ করলে তার জন্য নির্ধারিত জরিমানা, যানবাহন আটক’র পর আদালতে সোপর্দ করার বিধি রয়েছে। কিন্তু সুকৌশলে কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সুব্রত কুমার গাইন যানবাহন বাস্তবে নয় কাগজে আটক দেখিয়ে আটক স্লিপ বাণিজ্যে করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন আটক স্লিপ দিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের ভূমিকায়; মামলা নয়, ব্যতিব্যস্ত নিজের পকেট ভরায়। ট্রাফিক বিভাগে আধুনিক পদ্ধতি করা হচ্ছে, সাথে সাথে অনিয়মের পদ্ধতিও যাচ্ছে বদলে। কুষ্টিয়া ট্রাফিকের সার্জেন্ট সুব্রতর বিরুদ্ধে এমন-ই ডিজিটাল অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। গাড়ি মালিক ও শ্রমিক সমিতিসহ শহরে চলাচল করা সব ধরনের যানবাহন থেকেই উঠানো হচ্ছে মাসোহারা। এতে গাড়ির মালিক ও শ্রমিকরা হয়রানি থেকে বাঁচতে ও জরিমানার ভয়ে নিজ থেকেই যোগাযোগ করেন সার্জেন্ট সুব্রতর সাথে। এদিকে মাসোহারার সাথে যোগ হয়েছে আটক স্লিপ”। সচেতন মহল মনে করেন. আটক স্লিপের কারণে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফিটনেস বিহীন গাড়ী চলাচল করায় সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা, প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানি। কুষ্টিয়ায় অনুমোদনহীন গাড়ির ছড়াছড়ি থাকলেও ট্রাফিক পুলিশ পড়ে আছে মোটরসাইকেলের পেছনে।
জানা যায়, জনসাধারণ ও সরকারকে দেখানোর জন্য কিছু মামলা দিয়ে রাজস্ব আয় দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি ব্যস্ত আছেন মাসোহারা ও আটক স্লিপ নিয়ে।
অনুসদ্ধানে জানা যায়, কুষ্টিয়া চলাচলকারী মোটরসাইকেল অবৈধ ভটভটি, নছিমন করিমন আটক করে দেয়া হয় আটক স্লিপ কয়েক ঘন্টা পরে দেন দরবার করে ছেড়ে দেয়া হয় ওইসব গাড়িগুলো।
গাড়ির কাগজপত্র সঠিক না থাকলে মামলা দেয়ার কথা অনলাইনে জরিমানা জমা নেয়ার কথা অনলাইনে কিন্তু তা না করে আটক স্লিপে দিয়ে চলে বাণিজ্য। এখনো ডিজিটাল মেশিনে মামলা না নিয়ে আটক স্লিপ বা জব্দ তালিকা মুলে গাড়ি ধরা হয়। অনেক সময় আটক স্লিপ ব্যবহার করা হচ্ছে। গাড়ি জব্দের আটক স্লিপের অপব্যবহার বেশি করা হচ্ছে। সন্ধ্যায় অফিসে এসে আটক স্লিপের জরিমানা হাতে হাতে ঘুষ নিয়ে গাড়ী ছেড়ে দেয়া হচ্ছে যা লিপিবদ্ধ করতে কোন রেজিস্টার ব্যবহার করা হচ্ছে না বা সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হচ্ছে না। পেছনের রাস্তায় দিয়ে আসা এসব ঘুষ চলে যাচ্ছে সার্জেন্ট সুব্রত’র পকেটে। এ বিষয়ে সার্জেন্ট সুব্রত সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত টিআই শাহিন উদ্দিন সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি যদি সত্যতা পায় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২৮ মে ২০২৩