Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 6:49 pm

দেশতথ্যের একান্ত সাক্ষাৎকারে কুষ্টিয়ার আজগর আলী

১৯৭২ সালে তিনি কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আজগর আলী কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে অতি পরিচিত নাম। তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দৈনিক দেশতথ্য তার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহন করেছে। সেই সাক্ষাৎকারের আলোকে লেখা হয়েছে আজকের এই প্রতিবেদন।

 আজগর আলী কুষ্টিয়া শহরের খোদাদাদ খান রোডের জসিমউদ্দিন জোয়ার্দ্দার ও সবেজান নেছা সাজু’র সন্তান। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধে অংগ্রহনের জন্য তাকে এবং তার পরিবারকে অনেক ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে।

তিনি যখন যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন তখন তার মা’কে রাইফেলের বাট দিয়ে নির্মম ভাবে মারপিট করেছিলো পাকহানাদার বাহিনী। যুদ্ধের সময় তিনি বর্তমান ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামসহ আশপাশের গ্রাম গুলোতে অনেক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর সহযোগী ছিলেন গ্রুপ কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, নজরুল ইসলাম, দবির উদ্দিন জোর্য়াদ্দার, আব্দুল হাই প্রমুখ।

যুদ্ধ শেষের আগেই স্বাধীন ও সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয় বৃহত্তর কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়াকে আওয়ামী লীগের একটি কেদ্রস্থল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সে সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ ধারন করে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৭২ সালে তিনি কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময়ে ভিপি হয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মিন্টু।  সেই থেকে শুরু করে নানা আন্দোলন সংগ্রাম উতরিয়ে তিনি এখন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের দুর্দিনে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। অনেকেই দল ছেড়ে নানা দলে গিয়ে সুবিধা নিয়েছেন। আজগর আলী ওইসব সুযোগ সুবিধাকে পায়ে ঠেলে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে গেছেন। সেই সময় থেকে যারা কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন আজগর আলী তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান।

বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে তিনি অনেকবার লাঞ্চিত হয়েছেন। কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিনেও তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি মেধা ও শ্রম দিয়ে নেতা কর্মীদের সঙ্গে থেকে ধরে রেখেছিলেন দলের ঐতিয্য। রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজ জেলার আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পার করেছেন সেই সব দুর্বিসহ দিন।  

২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আজগর আলীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার সব ক’টি আসনে ১৪ দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘যারা দল করে তাদের সবারই একটি টার্গেট থাকে। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগে আছি। কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই”। তবে জননেত্রী বা দল যে নির্দেশ দিবে সে নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। তিনি সারা জীবন দল ও কুষ্টিয়াবাসীর সেবা করে কাটাতে চান ।

বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে থেকে কুষ্টিয়াকে বাংলাদেশের একটি মডেল জেলা হিসেবে রূপদানের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন । আগামীতে তিনি কুষ্টিয়ার মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। তিনি বলেন দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো । দল মনোনয়ন দিলে পৌর নির্বাচন করবো ইনশাল্লা।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ১৭,২০২২//