কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশার আঙুল কেটে পেটে অস্ত্রপাচারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও সন্তান কমান্ডের ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সমানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠত হয়।
এতে মাইশার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন ও মা বেলি বেগমসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান।
কুড়িগ্রাম সদরের ভেলাকোপা ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছয় বছরের মেয়ে মাইশার ডান হাতের আঙুল সার্জারী করতে গেলে ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়দানকারী ডা. মো. আহসান হাবীব গত (৩০ নভেম্বর) সকালে মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে হাতের সার্জারী করান। এর দেড় ঘন্টা পর তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার কথা বলে পাশের গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেয়ার পর জানানো হয় মাইশার মৃত্যুর খবর।
কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই ডা. আহসান হাবিব ও ক্লিনিকের লোকজন এ্যাম্বুলেন্স ডেকে জোর করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়িতে লাশের গোসল করানোর সময় দেখা যায় শিশুটির তলপেট অপারেশ করা। সেখানে ২০টি সেলাই দেয়া হয়েছে। রাতে সদর থানা পুলিশকে জানিয়ে শিশুটিকে বাড়ির আঙিনায় দাফন করে স্বজনরা।
গত ৪ ডিসেম্বর (রোববার) সংশ্লিষ্ট আলম মেমোরিয়াল হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ৫ ডিসেম্বর সকালে মাইশার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন ঢাকার রুপনগর থানায় অভিযোগ করলে ডা. আহসান হাবীবসহ, তার অপারেশন করা ডা. শরিফুল ইসলাম, এ্যানেস্থেশিয়াকারী ডা. রনিসহ আলম মেমোরিয়ালের অজ্ঞাত মালিককে আসামী করে মামলা নেয় রুপনগর থানা পুলিশ।এ মামলায় দোষীদের গ্রাফতারের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খালিদ সাইফুল/দৈনিক দেশতথ্য

Discussion about this post