Print Date & Time : 22 April 2025 Tuesday 11:27 am

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক

গোফরান পলাশ, কলাপাড়া: পবিত্র মাহে রমজানেও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে চলছে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ। সৈকতের জিরো পয়েন্টের দুই দিকে সৈকতের মালিকানা দাবিদাররা প্রকাশ্যে পাকা, আধা পাকা ও সেমিপাকা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রহস্যজনক কারণে এ নির্মাণ কাজ বাঁধা দিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় স্থাপনা নির্মাণে পৌরসভা, বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির অনুমোদন নেয়ার নিয়ম থাকলেও সাজেদুল ইসলাম হিরো কিংবা কেএম শাহজালাল নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে সমুদ্র সৈকতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে দখলদাররা পর্যটনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত স্থাপনা নির্মাণ করে আসলেও ব্যবস্থা নিতে পারছে না জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। আর এতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকার পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এসব স্থাপনার বর্জ্য, মল-মূত্র সমুদ্রের পানিতে ফেলা হচ্ছে। এতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।

জানা গেছে, কুয়াকাটা চৌরাস্তা সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাহিরে সমুদ্র সৈকত লাগোয়া জমিতে অর্ধ শতাধিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সৈকতের এসব জমি জেলা প্রশাসন তাদের দাবি করে কয়েকবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলেও মামলা জটিলতায় বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। সৈকত এলাকার এসব জমির মালিকানা দাবী নিয়ে সরকার বনাম দখলদারদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসলেও নিস্পত্তি না হওয়ায় কোন সুরাহায় যেতে পারছে না জেলা প্রশাসন।

এদিকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে না হতেই সরদার মার্কেটের নামে এঙ্গেল দিয়ে তিনতলা দোকান ও আবাসিক হোটেল নির্মাণ করছে সাজেদুল ইসলাম হিরো। এছাড়া হোটেল সী কুইন কর্তৃপক্ষ নতুন করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন (বেলা)’র বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। সেখানে ঝুঁকিপুর্ন ভবন নির্মাণ করা বেআইনি।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নির্মাণাধীন সরদার মার্কেটের মালিক সাজেদুল ইসলাম হিরো দাবি করেন সৈকতে তার পক্ষে আদালতের রায়, ডিক্রী আছে।

মহিপুর ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সমুদ্র সৈকত দখল করে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ কিংবা বাঁধা দিতে গেলে হুমকি দিচ্ছে দখলদাররা।

কলাপাড়া ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সৈকতের পরিবেশ, প্রতিবেশ রক্ষা এবং দখল রোধে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠক হয়েছে। কেউ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে থকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে একটি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে।

দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//