সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট;
জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার রেল ষ্টেশনের লাইনের পাড়ে কৃষকের চারার হাট। এখানে মৌসুমি ফসলের সকল প্রকার চারা পাওয়া যায়। হাটটি কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কৃষকের পুলির হাটে স্বল্পমূল্যে মিলবে পিঁয়াজের পুলি, পানের বরজের পুলি, নানা সবজির পুলি, বেগুনের চারা, আমন ধানের চারা। এছাড়াও মিলবে নানা কৃষি উপকরণ। এই পুলিরর হাটটি সন্ধ্যার পরে প্রতিদিন বসে। এখানে কৃষক সরাসরি ফসলের চারা বিক্রি করে থাকে।
কৃষক রমজান (৪৫) জানান, তিনি ৫ বিঘা জমির ধানের চারা তৈরি করে ছিল কিন্তু তিন বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছে। দুই বিঘা জমির ধানের অতিরিক্ত চারা বিক্রি করতে নিয়ে এসেছে। এই চারার হাটে যারা ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই কৃষক। কেউ এসেছে অতিরিক্ত চারা বিক্রি করতে । আবার কেউ এসেছে কিনতে। এখানে আসা কৃষক গণ সকলে ক্ষুদ্র কৃষক। প্রান্তিক বর্গাচাষি।সকল ধরনের চারা এখানে মিলবে। যখন যে ফসলের মৌসুম শুরু হয় তখন সেই মৌসুমের চারা পাওয়া যায়। কৃষকদের মাঝে স্বল্পমূল্যের এই চারা বা পুলিরহাট আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবজামান আহম্মেদ জানান, সরকার যদি এখানে একটি কৃষকের জন্য নির্ধারিত হাট প্রতিষ্ঠা করে তাহলে খুব ভাল হবে। কৃষক কোন মধ্যস্বত্বভোগীর ফাঁদে পড়বে না। এটা একটি অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//