নিজস্ব প্রতিনিধি (যশোর):
যশোরের কেশবপুরে কপোতাক্ষ নদের কোল ঘেঁষে জন্মেছিলো বাংলা সনেট কবিতার জনক মাইকেল মধুসূদন দত্ত । প্রতিবছর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মধুমেলা আয়োজন করা হয়। এ মধুমেলায় ছুটে আসেন মধুসুদন ভক্তকূল। ১৯ জানুয়ারি শুরূ হওয়া এ মেলাতে হাজারও দর্শনার্থীদের পদচারণায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে জমে উঠেছে সাগরদাঁড়ির মধুমেলা।
১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সাগরদাঁড়ি গ্রামে এক জমিদার বংশে মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও প্রথম সার্থক নাট্যকার, বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সনেট আর আধুনিক মহাকাব্যেরও জনক।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার থেকে যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে শুরু হয়েছে মধুমেলা। মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন ২৫ জানুয়ারি। তবে এ জন্মদিনকে ঘিরে উৎসবের আয়োজন শুরু হয়ে যায় আগে ভাগেই। অন্যান্য বছর সাতদিন মেলার আয়োজন করা হলেও এ বছর ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আরও দুই দিন বৃদ্ধি করে ৯ দিনব্যাপী মধুমেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিন থেকেই মেলার মাঠে ভিড় করতে শুরু করেছে স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। দিনভর মেলার মাঠে সার্কাস-জাদু দেখছেন, চড়ছেন নাগরদোলায়।
মিল্লাত হোসেন নামে এক ব্যাংকার খুলনা থেকে পরিবারসহ এসেছেন মধুমেলা দেখতে। তিনি বলেন, প্রতিবছরই আসি। অন্যান্য বছর অফিস ছুটি নিয়ে আসতে হয়। এবার শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
মধুমেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। মেলা জুড়ে ৩৫১টি ছোটবড় স্টল রয়েছে। এ সব স্টলের মধ্যে রয়েছে খাবারের দোকান, কসমেটিকস, শিশুদের খেলনার দোকান, বাহারি মিষ্টির দোকান ইত্যাদি।
যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান বুলু বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রাণের দাবি মধুকবির এই স্মৃতি বিজড়িত জন্মস্থানে সাগরদাঁড়িতে তার নামে একটি সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//