পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমি চত্ত¡রে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিয়া শারমিন, কোটালীপাড়া থানার ওসি জিল্লুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শ্রেণি পেশার মানুষদেরকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন বাঙ্গালী জাতির জন্য গর্বের ও গৌরবের। আজকের দিনটি দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ লুৎফর রহমান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১সালে আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। অস্ত্র হাতে নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯মাস যুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছিলাম। ৭১এর ডিসেম্বর মাসে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম। তখন আমরা বিজয়ের যে আনন্দ পেয়েছিলাম ঠিক আজ সে রকম একটি বিজয়ের আনন্দ পাচ্ছি। হাসিনা মা জননী আমাদেরকে পদ্মা সেতু করে দিয়েছেন। আমরা এখন ২ঘন্টায় ঢাকা যেত পারবো।
ঘাঘর বাজার বর্ণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে এ উপজেলার ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ীক ভাবে লাভবান হবেন। কেননা ঢাকা থেকে মালামাল ক্রয় করে ট্রাকে করে নিয়ে আসতে আগে আমাদের ৩/৪দিন সময় লাগতো। এখন আমরা ১দিনেই আমাদের মালামাল নিয়ে আসতে পারবো। যার ফলে ট্রাক ভাড়া অনেক কম লাগবে।
যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লাভলু শেখ বলেন, পদ্মা সেতুর সুফল পেতে হলে কোটালীপাড়া থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো মাদারীপুরের রাজৈর হয়ে যেতে হবে। বাসগুলো যদি রাজৈর হয়ে না যেতে পারে তাহলে কোটালীপাড়াবাসী প্রকৃত অর্থে এর সুফল পাবেনা। কোটালীপাড়া থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো রাজৈর দিয়ে যাওয়ার সময় মাদারীপুরের শ্রমিক সংগঠন বাঁধা সৃষ্টি করে। আমরা চাইবো দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করে ঢাকাগামী বাসগুলো যেন রাজৈর হয়ে যেতে পারে।
উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, কোটালীপাড়াবাসী যাতে পদ্মা সেতুর সুফল পায় তার জন্য সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পদ্মা সেতু চালু হলে এলাকায় ছোট ছোট শিল্প কলকারখানা তৈরী হবে। এতে করে এ জনপদের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ জনপদের মানুষদের জীবনমানের উন্নতি ঘটবে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//২৫ জুন-২০২২//

Discussion about this post