গৌরাঙ্গ লাল দাস, কোটালীপাড়া ( গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জমে উঠেছে কবি সুকান্ত মেলা । কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীদের পদচারণায় মুখরিত এখন কবির পৈত্রিক ভিটায়।
গত বুধবার (০১ মার্চ) রাতে প্রদীপ প্রজ্জলন করে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহাবুবুল আলম। এ মেলা চলবে আগামী রোববার (৫ মার্চ) পর্যন্ত।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
এ মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে পড়বে সকলের মাঝে এমনটিই প্রত্যাশা লেখক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক প্রেমীদের।
এ মেলা ঘিরে নবরূপে সেজানো হয়েছে কবির পৈতৃক ভিটা ও আশপাশের চত্বর । কবি ভক্ত, সাংস্কৃতিক কর্মী, এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের মানুষ কবি সুকান্তের পৈত্রিক ভিটায় উপস্থিত হয়ে এ মেলাকে করে তুলেছেন প্রাণবন্ত। প্রতিদিন সুকান্ত মঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীগণ পরিবেশন করেছেন গান । মেলা উপলক্ষে বসেছে বিভিন্ন স্টল। স্টলগুলোতে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্য ছাড়াও বিভিন্ন কবির লেখা বই স্থান পেয়েছে। এ মেলা দেখতে গোপালগঞ্জ ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে এসেছে নানা বয়সের মানুষ। এ মেলা উপলক্ষে বসেছে খাবার, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন দোকান।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার তপন বসু বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার উনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্ত মেলা হচ্ছে শুনে দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভাল লাগলো। তবে কবির পৈত্রিক ভিটা ঘিরে এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবী জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জে থেকে আসা প্রীতি লতা বলেন, কবি সুকান্ত মেলায় বেশ কয়েকটি বইয়ের স্টল বসেছে। তবে তা তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া বইয়ের সংখ্যাও কম। আমরা চাই মেলায় আরো বেশি বইয়ের স্টল দেয়া হোক আর বইয়ের সংখ্যাও বাড়ানো হোক। সবমিলিয়ে মেলার সার্বিক দিকগুলো ভাল ছিল।
কবি ও আবৃত্তিশিল্পী প্রদ্যোৎ রায় বলেছেন, ‘যুগাবতার হয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পাললিক ভূখন্ডে আমাদের বাংলাদেশে যত মহামানব এসেছেন, কবি সুকান্ত তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি কেবল একজন কবিই নন, তিনি একজন অনন্য ত্রাতা। তিনি নিপীড়িত মানবতার মুক্তির জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন।’
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদর্শকে বর্তমান যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, এই মেলার মধ্যে দিয়ে কিছুটা হলেও কবি সুকাš— ভট্টাচার্যকে বাঙালি জাতি বা আগামী প্রজন্মের কাছে আমরা তুলে ধরতে পারব।’
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, “দেশী-বিদেশী পর্যাটকরা এখানে এসে কিশোর কবির বাড়ির পর্যবেক্ষণ করতে পারে সেজন্য পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে। যাতে দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে আগতরা কিশোর কবি সুকান্ত সম্পর্কে জানতে পারে।”
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//