কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জোর করে কবরের উপরে ঘর তুলে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জায়গার প্রকৃত মালিক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পায়নি। এলাকার লোকজন দখলকারীকে কবরের উপর থেকে ঘর সরিয়ে নিতে বললেও সে ঘর সরিয়ে নেয়নি। বরং ভুক্তভোগী পরিবারটিকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
জানাগেছে, উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের জামুলা গ্রামের মৃত জাহের মোল্লার ছেলে কলম মোল্লা ৮০বছর বয়সে ২০ বছর আগে মারা যায়। কলম মোল্লা মৃত্যুর আগে তার মেয়ে মদিনা বেগমকে বাড়ির ৫শতাংশ জায়গা লিখে দেয়। কলম মোল্লা মারা যাওয়ার পরে ওই ৫শতাংশ জায়গার মধ্যে তাকে কবর দেওয়া হয়। পুত্র সন্তানহীন কলম মোল্লার মৃত্যুর পরে জায়গাটি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ২বছর আগে মদিনা বেগমের চাচাতো ভাইর ছেলে সুমন মোল্লা ওই জায়গার উপর কবর জুড়ে ঘর নির্মাণ করে।
এ সময় মদিনা বেগম বাঁধা দিতে গেলে তাকে সুমন মোল্লা ও তার লোকজন শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে। এরপর থেকে মদিনা বেগম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পিতার কবরের উপরে নির্মিত সুমন মোল্লার ঘর অপসারণ করতে পারেনি।
মদিনা বেগম বলেন, আমার চাচাতো ভাই সোহরাব মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা জোর করে আমার পিতার কবরের উপরে ঘর তুলে বসবাস করছে। এই জায়গার আমার বৈধ কাগজপত্র আছে। তার পরেও সুমন মোল্লা আমার জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে না। আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ঘুরেও কোন বিচার পাচ্ছিনা। আমি চাই সুমন মোল্লা দ্রুত আমার বাবার কবরের উপর থেকে ঘর সরিয়ে নিয়ে জায়গা ছেড়ে দিক।
এলাকার সমাজসেবক সামাদ বেগ বলেন, কলম মোল্লার কবরের উপরই সুমন মোল্লা ঘর তুলে বসবাস করছে। আমরা একাধিকবার সুমন মোল্লাকে ঘর সরিয়ে নিতে বললেও সে ঘর সরাতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে সুমন মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই জায়গা আমি আমার ফুফু মদিনা বেগমের আমার কাছে বিক্রি করেছে। তবে সে এখনো আমাকে দলিল দেয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকারিয়া শেখ বলেন, বিষয়টি আমি দুই পক্ষকে ডেকে সামাজিক ভাবে ফয়সালা করার চেষ্টা করবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post